দেশে করোনা সংক্রমণকে প্রতিহত করার এক এবং অদ্বিতীয় উপায় হল বিপুল পরিমাণে গণ টিকাকরণ। আর বর্তমানে দেশে সংক্রমনের তীব্রতাকে রোখার মত বিপুল টিকার উৎপাদন সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে একটি সার্ভে করে দেখতে পাওয়া গেছে দেশে মোট কুড়ি শতাংশ মানুষের টিকাকরণ সম্ভব হয়েছে ইতিমধ্যেই। কোভ্যাক্সিন ও দেশে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডই দেওয়া হচ্ছে, সাধারণ মানুষকে তবে ইতিমধ্যেই বিপুল পরিমাণ টিকার অভাব থাকার কারণে একটি ডোজের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের চিকিৎসা করা সম্ভব কি না সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্র সরকার।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/06/WhatsApp-Image-2021-06-01-at-16.28.50.jpeg)
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য একটি ডোজের মাধ্যমে টিকাকরণ সম্পন্ন করা হলে, যদি তা থেকে করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা সম্ভব হয়, সেক্ষেত্রে দুটি ডোজ গ্রহণের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে যে ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে তা থেকেও স্বভাবতই মুক্তি পেতে চলেছে তাঁরা। পাশাপাশি দুটি ডোজের মাধ্যমে দুটি ভিন্ন মানুষের শরীরে টিকাকরণ করানো সম্ভব হবে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে একটি ডোজ কি করোনা সংক্রমণ রুখতে যথেষ্ট?
ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করা হবে বলে জানানো যাচ্ছে। ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অফ ইমিউনিজেশনের করোনা সংক্রান্ত বিভাগের চেয়ারম্যান জানান, আগামী দিনে একটি ডোজ যার মাধ্যমে করোনা টিকাকরন সম্ভব কি-না সে বিষয়ে বিশদ তথ্য খতিয়ে দেখা হবে। তবে এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি তরফে। তাঁরা জানিয়েছেন, “আমরা ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা করে দেখেছি, করোনাজয়ী কিংবা এখনও কোভিড আক্রান্ত হননি, এমন ব্যক্তির জন্য টিকার একটি ডোজই যথেষ্ট। টিকা নেওয়ার পর প্রথম সপ্তাহে যে অ্যান্টিবডি শরীরে তৈরি হয়, তাতেই সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব।”