দেশজুড়ে জরুরিভিত্তিতে র্যাপিড টিকাকরণের সুফল পাচ্ছে ভারত। উৎসবের মরশুম শেষেও যে হারে সংক্রমণ বৃদ্ধির কথা ছিল সেই হারে এখনও বৃদ্ধি পায়নি সংক্রমণ। মূলত টিকাকরণের জোরেই দেশের দৈনিক মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যার পরিসংখ্যানে মিলছে স্বস্তি। দেশের অধিকাংশ রাজ্যেই আপাতত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে করোনা। এমনকী, মহারাষ্ট্রেও গত ২৪ ঘণ্টায় অনেকটা কমেছে দৈনিক সংক্রমণের মাত্রা। যদিও চিন্তা বাড়াচ্ছে কেরল ও বাংলার করোনা গ্রাফ। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ৪২৮ জন। যা লাগাতার গত কয়েকদিনের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের সংখ্যার মধ্যে সর্বনিম্ন।
দৈনিক করোনার সংক্রমণ কমার অন্যতম কারণ হল মহারাষ্ট্রে একলাফে দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই হ্রাস পাওয়া। তবে মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ কমলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে কেরল। শুধুমাত্র কেরলেই গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬৬৪ জন। উৎসবের মরশুমে বাংলাতেও ভ্রুকুটি দেখাচ্ছে উর্দ্ধমুখী করোনা গ্রাফ। দুদিন পরে খানিকটা স্বস্তি মিলেছে দৈনিক মৃত্যুর ক্ষেত্রেও। লাগাতার দু’দিন দেশে মৃতের সংখ্যা পাঁচশোর অধিক থাকার পর এদিন বেশ খানিকটা কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫৬ জন যা গত কয়েকদিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৬৮ জন। দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় স্বস্তি মিলেছে করোনার অ্যাকটিভ কেসের ক্ষেত্রেও। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুসারে, বর্তমানে দেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৮১৬ জন যা আগের দিনের থেকে ৩ হাজার ৮৭৯ জন কম। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৩৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ৩১৮ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।