রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে গরহাজির ছিলেন চারজন মন্ত্রী। উল্লেখযোগ্যভাবে, মঙ্গলবারের বৈঠকে হাজির ছিলেন না বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বৈঠকে ছিলেন না মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এবং উত্তরবঙ্গের দুই মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও গৌতম দেবও।
সম্প্রতি দল ছেড়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী–সহ শাসকদলের একঝাঁক নেতা ও বিধায়ক। এমন সময় এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজীবকে নিয়ে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে দলকে। দফায় দফায় রাজীবের সঙ্গে আলোচনাতেও কোন রফা বের হয়নি। এই সেই রাজীবেরই মন্ত্রীসভার বৈঠকে অনুপস্থিতি হওয়ায় বেশ জল্পনা তৈরি হয়েছে। সেইসঙ্গে এদিন দেখা মিলল না রাজ্যের তিন গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রীরও। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, জল্পনার কোনও প্রশ্নই নেই। যাঁরা বৈঠকে ছিলেন না তাঁরা নিশ্চয়ই তাঁদের হাজির না থাকার কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন।
এদিন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির ব্যস্ততার কারণে এলাকা ছাড়তে পারেননি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁরা আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে জানিয়েছিলেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। আর ব্যস্ততার কারণে এদিন কলকাতায় আসতে পারেননি মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাও। তবে রাজীব কেন যেতে পারেননি সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, তবে কি নতুন বছরের শুরুতে অমিত শাহ ফের রাজ্যে এলে রাজীবও শুভেন্দু অধিকারীর মত অবস্থান পাল্টাবেন?