নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার আরও এক। এবার গ্রেফতার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীল। অয়নের সল্টলেকের ভাড়াবাড়িতে প্রায় ৩৭ ঘন্টায় তল্লাশি চালায় ইডি। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অয়নকে বয়ানে অসংগতি ও তথ্য গোপনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় প্রোমোটার অয়ন শীলকে। গ্রেফতারের পর অয়নকে সল্টলেকের ভাড়া বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয় সিজিও কমপ্লেক্সে।
শনিবারই বলাগড়ের একটি রিসর্টে শান্তনু-ঘনিষ্ঠ কয়েক জনকে জেরা করেন ইডির আধিকারিকরা। একই সঙ্গে ইডির একটি দল পৌঁছে যায় অয়নের বাড়িতেও। প্রোমোটার অয়নকে জেরার পাশাপাশি তাঁর মা, বাবাকেও জেরা করে ইডি। বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। ইডি সূত্রে খবর, তল্লাশিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা সম্বলিত কয়েকটি তালিকাও ছিল। প্রায় শতাধিক উত্তরপত্রের ওএমআর শিট প্রতিলিপিও উদ্ধার হয়েছে। ছিল সম্পত্তি সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিও। উদ্ধার পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও। নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কোনও সরকারি কর্তাব্যক্তি না হয়েও এক জন প্রোমোটারের অফিসে এই নথি এল কী ভাবে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
অয়নের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ সামনে এসেছে। এ বার এক বাবা-ছেলেকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগেও সামনে এল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচিত প্রোমোটার অয়ন শীলের নাম।
নিয়োগ দুর্নীতিতে অয়নের যোগ কতটা, খতিয়ে দেখছেন ইডি-র তদন্তকারীরা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করে দেওয়ার নামে অয়ন ৩৫ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন বলে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কলকাতার এক বাসিন্দা। ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর নাগাদ হুগলির দেবানন্দপুরে জনৈক শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ছেলে রূপকুমারের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের দাবি, ঘর থেকে সুইসাইড নোট মিলেছিল। যাতে মৃত্যুর জন্য অয়নকে দায়ী করা হয়। সেই মামলা এখনও চলছে।