ইডি হেফাজত শেষ মণীশের ঠিকানা এবার তিহার জেল? অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। গত সপ্তাহে গ্রেফতার হওয়ার পর ৫ দিনের ইডি হেফাজতে ছিলেন মণীশ। তার মেয়াদ শেষ হলে সোমবার তাঁকে আবার আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারপতি রঘুবীর সিং তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই গরু পাচার মামলায় তিহার জেলে রয়েছে গরু পাচার কান্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল হক, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সেহেগল হোসেন। আর এবার মনীশের ঠিকানাও আগামী ১৪ দিনের জন্য তিহারই হতে চলেছে।
১৫ মার্চ মণীশ কোঠারিকে আদালতে পেশ করা হলে কার্যত বিধ্বস্ত দেখায় তাঁকে। সংবাদ মাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙেও পড়েছিলেন তিনি। ধরা-ধরা গলায় বলেছিলেন, “তিনি কিছু করেননি। তাঁর ভুল যে তিনি পেশায় একজন হিসাবরক্ষক।” সেই ঘটনার পর আজ ফের তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক মণীশের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এদিন ইডির আইনজীবী নীতেশ রানা আদালতে সওয়াল করেন, পরবর্তী ক্ষেত্রে মণীশকে তারা আর নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় না। অন্যদিকে, মণীশ কোঠারির আইনজীবী রাজা চট্টোপাধ্যায় বিচারপতিকে আবেদন করেন, তাঁর মক্কেল সুস্থ নয়। সম্প্রতি অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাই পর্যাপ্ত পথ্য মণীশকে যেন ঠিকমত দেওয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর মণীশকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি।
ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার পিছনে মণীশের সক্রিয় ভূমিকা ও পরিকল্পনা ছিল। বোলপুরের আশপাশেও মণীশের নামে বিপুল অঙ্কের সম্পত্তির হদিস মিলেছে। তাঁর নামে সমস্ত জমির বাজারমূল্য ১৭-১৮ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, মণীশকে জেরা করে ইডি জানতে পেরেছে, কালো টাকা সাদা করার জন্য টাকা ঢালা হয়েছিল আইপিএলেও। মণীশ কোঠারির ‘পরামর্শেই’ নাকি এই কাজ করেছিলেন অনুব্রত। ইডি দাবি করেছে, গরু পাচারের কয়েকশ কোটি টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে অনুব্রতকে অনেক ধরনের পরামর্শই দিতেন মণীশ। বাজার দরের থেকে বেশি দামে সম্পত্তি বা জিনিসপত্র কেনার ‘পরামর্শও’ নাকি অনুব্রতকে দিয়েছিলেন তিনি।