নারী নির্যাতন এবং কন্যাভ্রূণ হত্যার খবরে সংবাদপত্রের পাতায় চোখ রাখা দায়। বধূ নির্যাতন, বধূ হত্যা, কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার অপরাধে খুন, অত্যাচার এসব অত্যন্ত সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কার্যতই নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল রাজস্থানের নাগৌর জেলায়। বহুবছর পর পরিবারে প্রথম কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ায় আনন্দে আত্মহারা হয়ে বৌমা ও নাতনীতে আনতে হেলিকপ্টার পাঠালেন শিশুটির দাদু।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর কন্যাসন্তান জন্ম নেয় রাজস্থানের প্রজাপত পরিবারে। আর এরপরই বাড়িতে শুরু হয়ে যায় একপ্রকার উৎসব।খুশীতে আত্মহারা পরিবারের সকলে।আর এই বিশেষ মুহুর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই এক অভাবনীয় পদক্ষেপ নিলেন সদ্যজাতের দাদু মদনলাল কুমার। রাজস্থানে নাগৌর জেলার বাসিন্দা হনুমান প্রজাপত ও তাঁর স্ত্রী ছুকি দেবীর কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ার পর থেকেই আনন্দিত গোটা পরিবার। রেওয়াজ মেনে সন্তান জন্মের পর তাঁর বাপের বাড়িতেই ছিলেন ছুকি দেবী।
কন্যাসন্তান সমেত তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার মুহূর্তকে চির স্মরণীয় করে রাখতে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা খরচা করে হেলিকপ্টার পাঠালেন খোদ শ্বশুড়মশাই মদনলাল কুমার। যা দেখে তাজ্জব হয়ে যান এলাকার সকলেই। মদনলাল জানান, “আমি ছেলে মেয়েতে বিভেদ মানি না। ওকে শিক্ষিত করে এবং ওর সব স্বপ্ন পূরণ করব”। রাজস্থানের এই ঘটনা আর পাঁচটা সাধারণ ঘটনার থেকে পৃথক হয়ে নজির গড়ল অনন্যতার।