নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলের প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস মিলল। কী ভাবে এই বিপুল সম্পত্তি হল অয়নের, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হুগলির প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করে হুগলির প্রোমোটার অয়নের নাম উঠে আসে ইডির হাতে। শান্তনুর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অয়ন।
ইডির নজরে অয়নের ঘনিষ্ঠরাও। নাম উঠে আসে কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়র তথা অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীর। শ্বেতা মডেলও ছিলেন। অয়নের প্রযোজনা সংস্থার ‘কাবাড্ডি কাবাড্ডি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শ্বেতা। ছবিতে কাজ করার পারিশ্রমিকের বদলে অয়ন তাঁকে একটি গাড়ি দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন শ্বেতা। একজন উঠতি মডেলের এত সম্পত্তি কীভাবে থাকতে পারে, তা ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। নামে বেনামে অয়নের একাধিক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। দাবি ইডির। তদন্তকারীদের নজরে অয়নের বাবা ও ছেলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও।
ইডি সূত্রে দাবি, তল্লাশিতে যে সমস্ত তথ্য সামনে এসেছে, তাতে যা বোঝা যাচ্ছে, এই অয়নের সল্টলেকের অফিসই ছিল নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম আখড়া। অয়নের বাড়িতে ইডির অভিযান হয়েছে। সূত্রের খবর, তার আগেই নাকি কোনও এক রহস্যময়ী অয়নকে চ্যাটে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, তাঁর বাড়িতে ইডি রেড করতে পারে। অয়নের চ্যাট হিস্ট্রি ঘেঁটে দেখা গিয়েছিল, ‘Ed রেড করতে পারে। জিনিসপত্র সরিয়ে নাও। এখান থেকে চলে যাও।’ এই চ্যাট দেখে রীতিমতো তাজ্জব গোয়ন্দারা। কী করে তল্লাশির একদিন আগে এরকম সন্দেহপ্রকাশ করলেন ওই মহিলা? কে ছিলেন ওই মহিলা? তিনি কি অয়নের বান্ধবী শ্বেতা, নাকি অন্য কেউ, তা অবশ্য স্পষ্ট করা হয়নি ইডি-র তরফে।