আজ বনধের মধ্যেই রাজ্যে খুলল স্কুল । বাম ও কংগ্রেসের ছাত্র যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠিচার্জ সহ অশান্তির প্রতিবাদে আজ 12 ঘণ্টা বনধ চলছে রাজ্যজুড়ে । সেই বনধকে কার্যত তোয়াক্কা না করেই বিদ্যালয়ে পৌঁছলেন শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা । যদিও সরকারে তরফ থেকে অতিরক্ত বাস নামানো হয়েছে রাস্তায় । অন্যদিকে বামফ্রন্ট নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, স্কুল পড়ুয়াদের তাঁরা আটকাচ্ছেননা । অতএব স্বস্তিতে ছাত্র-ছাত্রীরা ।
করোনা পরিস্থিতির জন্যে দীর্ঘ ১১ মাস বন্ধ ছিল সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও অধিকাংশ বেসরকারি স্কুল । এই মুহূর্তে স্কুল খুললেও প্রশাসনের তরফে থাকছে কড়া গাইডলাইন যা জেলা স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শক ও স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে থাকবে । প্রত্যেক স্কুলের নোটিশ বোর্ডে গাইডলাইনগুলি লেখা থাকবে । যার মধ্যে রয়েছে –
সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, ছাত্রছাত্রী সকলকে মাস্ক পরতে হবে।
ছাত্র ছাত্রীদের জ্বর বা কোনও শারীরিক সমস্যা হলে অভিভাবকদের তা স্কুলকে জানাতে হবে। সেক্ষেত্রে সাতদিন তাঁকে বাড়িতে বিশ্রাম করতে হবে।
স্কুলের মধ্যেই রাখতে হবে আলাদা আইসোলেশন রুম।
ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাসে ঢোকার আগে এবং ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে প্রত্যেকটি ক্লাসরুম স্যানিটাইজ করতে হবে । প্রত্যেক ক্লাসরুমে স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
পরিষ্কার রাখতে হবে প্রতিটি বাথ্রুম ।
বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব, প্রত্যেক বেঞ্চে ১ থেকে ২ জনের বেশি পড়ুয়াকে বসতে দেওয়া যাবে না । বাগ করে দিতে হবে ক্লাস ।
কোনও ভিজিটার বা অভিভাবক স্কুলে ঢুকতে পারবে না।
স্কুলে ঢোকার মুখে থার্মাল স্ক্যানিং ও স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
টিফিন ভাগ করে খাওয়া বা অন্যের জলের বোতল ব্যবহার করা যাবে না।
কোন ধরণের খেলাধুলা বা অনুষ্ঠান করা যাবে না ।
স্কুলে ঢোকার পর যখন তখন যাতে তারা বাইরে বেরিয়ে যেতে না পারে সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
প্রয়োজনে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে ।
খুব প্রয়োজন ছাড়া যথাযথ কারণ দেখাতে না পারলে ছুটি নিতে পারবেন না শিক্ষক শিক্ষিকারা।