হিজাব বিরোধী আন্দোলনে এখন অগ্নিগর্ভ ইরান। দেশের সরকার আন্দোলন ঠেকাতে অমানুষিক অত্যাচার চালাচ্ছে জনগণের ওপর। শতাধিক মানুষের প্রান গিয়েছে আন্দোলনের জেরে। এরই মধ্যে আবার আরেকটি নির্মম ছবি ফুটে উঠেছে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। আন্দোলনকারী মহিলাদের মুখ, স্তন, উরু ও গোপনাঙ্গ লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। এক্ষেত্রে পাখিমারা গুলি বা পেলেট ব্যবহার করা হচ্ছে। মূলত আন্দোলনকারী মহিলাদের সৌন্দর্যকে ক্ষতবিক্ষত করে নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই এই নির্মম কাজ করছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী।
ইরানের চিকিৎসকদের কথায়, পুরুষ এবং নারীদের ক্ষেত্রে আঘাতের জায়গা আলাদা আলাদা। হীনমন্যতা থেকেই এমন আচরণ এবং নিজেদের যৌন অবসাদ থেকে বাঁচতেই তরুণীদের এভাবে গুলি করা হচ্ছে বলে চিকিৎসকরা দাবি করেছেন। বহু নারীর যোনীতে গুলি কিংবা পেলেট আটকে থাকতে দেখেছেন তারা। বহু আন্দোলনকারী এখন হাসপাতালে ভর্তি। গত ২২ শে সেপ্টেম্বর হিজাব না পরার অভিযোগে মাহসা আমিনি নামে এক মহিলাকে আটক করেছিল ইরানের পুলিশ। থানায় তাঁর রহস্যমৃত্যু হয় এবং তার পরেই অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে তেহরানে। তেহরান সহ সে দেশের কয়েকটি শহরে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের সমাবেশ। জায়গায়-জায়গায় চলছে রাস্তা অবরোধ। বৃহস্পতিবার মহসিন শেকারি নামে ২৩ বছরের এক যুবককে ফাঁসিও দিয়েছে তেহরান প্রশাসন।
আরও পড়ুন