মকর সংক্রান্তির পূন্য লগ্ন জুড়ে বাঁকুড়া সহ মেদনীপুর ও রাঢ়বঙ্গ মেতে উঠেছে টুসু উৎসব এর আনন্দে। করোনার এই ভয়াবহ কালে, বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন জুনবেদিয়া, শুশনিডাঙ্গা সহ বেশ কিছু গ্রামে গিয়ে দেখা গেল টুসু পরবের আনন্দে মশগুল আট থেকে আশি সকলেই।
টুসু উৎসব এর নামকরণ এর পেছনে রয়েছে বিভিন্ন ব্যাখ্যা। কোথাও মনে করা হয় টুসু শব্দটি এসেছে সুদূর নক্ষত্র থেকে অথবা কোথাও মনে করা হয়, টুসু শব্দটির অর্থ হলো ছোট মেয়ে /ছোট পুতুল। সুকুমার সেন বলেছেন ” টুসু উৎসব তিষ্য নক্ষত্রে অনুষ্ঠিত শস্যোৎসবের প্রবহমান ধারা”।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/01/WhatsApp-Image-2021-01-13-at-18.45.11.jpeg)
টুসু পুজো বা উৎসবের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই।তাই পুরোহিত লাগে না এই পুজোয়।বাড়ির মেয়েরা নিজেরাই গানের মাধ্যমে আরাধনা করে টুসুর। লোক শিল্পের ইতিহাসে টুসু পরব একটি বিশেষ রিতি । সাধারণত গ্রামের মাধ্যমে কুমারী মেয়েদের কে পুজো করা হয়ে থাকে এই উৎসবে বিসর্জনের দিন দুঃখের ছায়া নেমে আসে তাদের মুখে। উৎসবের বিশেষ বৈশিষ্ট্য তাদের গান, যা টুসু গান নামেই পরিচিত বিশ্বের দরবারে। এমনকি টুসু উৎসবের শেষ দিনে সকল গ্রামের মহিলারা রংবেরঙের কাগজের তৈরি মন্ডপ নিয়ে পুকুর ঘাটে পৌঁছে যান এবং চোখে অশ্রু নিয়ে তা বিসর্জন দিয়ে দেন।