শনিবার থেকে টানা বৃষ্টির জেরে কার্যত বিপর্যন্ত তামিলনাড়ু। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই এই বন্যার কবলে পরে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪ জন। বন্যার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে আপাতত স্থানান্তরিত করা হয়েছে ত্রাণ শিবিরে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৭০টি বাড়ি। এই বৃষ্টিতে আড়াইশোরও বেশি কুঁড়ে ভেঙে গিয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, মঙ্গলবারও প্রবল ভারী বৃষ্টিতে ভাসতে পারে রাজ্যের বিভিন্ন। তামিলনাড়ু সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, গত একদিনে চেন্নাই, থেনি এবং মাদুরাই জেলাতে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। গতকাল অর্থাৎ সোমবার থেকে কাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দু’টি দল মাদুরাই ও একটি করে দল তিরুভাল্লুর ও চেঙ্গেলপেটে বিপর্যয় মোকাবিলার কাজও শুরু করেছে। পাশাপাশি, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও পুরোদমে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে থাঞ্জাভুর ও কাড্ডালোর জেলায়।
শনিবার সকাল থেকেই তামিলনাড়ুর ৩৬টি জেলায় শুরু হয় ভারী ও অতি ভারী বৃষ্টিপাত। সোমবার পেরিয়ে গেলেও সেই বৃষ্টি এখনও হয়েই চলছে বহু অঞ্চলেই। এই প্রবল বৃষ্টির ধাক্কায় কার্যত বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ভেঙ্গে পড়েছে বহু গাছ, জল জমে জলমগ্ন বহু এলাকাই। এই ভারী বৃষ্টির জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে চেন্নাই-সহ ১৪টি জেলার স্কুল, কলেজ। এছাড়াও বন্ধ বহু সরকারি,বেসরকারি অফিসও। বেশিরভাগ কর্মীরাই বাড়িতে থেকেই কাজ করছেন। সোমবার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্তালিন। চেন্নাইয়ের রয়াপুরমে ত্রাণও বিলি করতে দেখা যায় তাঁকে।