ভ্রাতৃদ্বিতীয়া পরদিনই ভয়াবহ বিপত্তি মহানগরীতে। জানা যাচ্ছে, একই দিনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড মহানগরীর দুই প্রান্তে। একদিকে যেমন ট্যাংরায় ভস্মীভূত হতে দেখা গেল প্লাস্টিকের গুদাম, তো অপর দিকে আগুন লাগল শোভাবাজারের হরিহর বোসলেনের একটি টালির বাড়িতে। দমকল বাহিনীর তরফ থেকে প্রাথমিধারণায়ণা জানতে পাওয়া গেছে, মূলত শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। তবে আগুনের মূল উৎস এখনও পর্যন্ত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।উল্লেখ্য একইসঙ্গে দু’জায়গাতেই আগুন লাগলেও বিশেষ কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি এখনও পর্যন্ত।
জানা যায়, আজ ভোররাতে ট্যাংরার কিলখান রোডের প্লাস্টিকের গুদমে হঠাৎই আগুন লেগে যায়। আর তারপরই একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে। যার ফলে স্বভাবতই ঘুম ভেঙে যায় সাধারণ মানুষের । ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন প্রায় প্রত্যেকটি বাড়ির লোকেরা। তারপরেই দেখা যায় গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে।দাহ্য বস্তু মজুদ থাকার কারণেই খুব দ্রুতই জ্বলে ওঠে গুদামটি। প্লাস্টিকের গুদামে আগুন লাগার কারণে পার্শ্ববর্তী দুটি গুদামও জ্বলে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে । জানা যায় দমকলের ছটি ইঞ্জিনের নিরন্তর প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
ওদিকে ট্যাংরার পাশাপাশি শোভাবাজারের হরিহর বোসলেনের একটি টালির বাড়িতে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। জানা যায়, ওই বাড়িতে একত্রিত ভাবে বসবাস করতেন বেশ কয়েকজন ভাড়াটিয়া। সর্বপ্রথম বাড়ির মালিক এই বিষয়ে অবগত হওয়ার তড়িঘড়ি ওই বাড়ি থেকে বের করে আনেন সকলকে। এছাড়া ওই বাড়িতে মজুদ থাকা ছটি সিলিন্ডারকে সাধারণ মানুষের তৎপরতায় সরিয়ে নিয়ে আসা হয়। যার ফলে ভয়াবহ বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তারপরেও এই ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল বাহিনী। জানা যাচ্ছে মোট তিনটি ইঞ্জিনের চেষ্টাতেই এই আগুন নেভানোর সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত উভয় স্থানেই কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানা যাচ্ছে।