কয়েকদিন আগেই শুভেন্দুর সঙ্গে কোনও আলোচনা নয় বলেই তৃণমূলের তরফে খবর পাওয়া গিয়েছিল। এবার সেই পর্বের ঘটিয়ে সামনের দিকে এগোনোর বার্তা দিল তৃণমূল। শুক্রবার সকালে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার। সেখানেই এমনটা জানানো হয়। এদিন শুভেন্দু প্রসঙ্গকে সচেতনভাবে এড়িয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাংসদের স্পষ্ট জবাব, “দলের ওপরে কেউ নয়। পোক্ত জমির ওপরে দাঁড়িয়ে থাকা একজন জননেত্রীর তৈরি দল হল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের বাইরে কেউ এমন নেই যে তার কথা আমাকে এখানে বলতে হবে।” পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক বিধায়ক দল ছাড়ছেন বলে বিজেপির তরফে দাবি করা হচ্ছে এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করলে কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি এসব বলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সাধারণ মানুষ অত বোকা নয়। তারা বিজেপির চালাকি বোঝেন।”
প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এবার শুভেন্দু অধিকারী সংক্রান্ত অধ্যায় ‘ক্লোজ’করে দিতে বার্তা দেন বলে সূত্রের খবর। তৃণমূল যে আর নিজের উদ্যোগে আলোচনায় যাবে না তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়।
মঙ্গলবার তাঁর মধ্যস্থতায় মুখোমুখি বৈঠকে বসেছিলেন অভিষেক-শুভেন্দু-পিকে-সুদীপ। বৈঠক শেষে তৃণমূল শিবির যখন দাবি করেছিল সব সমস্যা মিটে গিয়েছে তখনি বোমা ফাটিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র। বুধবার দুপুরে সৌগতকে হোয়াটসঅ্যাপ করে শুভেন্দু জানিয়ে দিয়েছিলেন বৈঠক অনৈতিক। সূত্রের খবর এরপর থেকেই শুভেন্দুকে ছাড়াই ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। আর তারপরেই নন্দীগ্রামের বিধায়ককে বৃহস্পতিবারই দলের অবস্থান স্পষ্ট করে হোয়াটসঅ্যাপে জানিয়ে দেন সৌগত রায়। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সরকারি কর্মচারী সংগঠনের মেন্টর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শুভেন্দুকে। এরপর আজ কাকলিও সুকৌশলে এড়িয়ে যান শুভেন্দু প্রসঙ্গ।