আচমকা খোঁজ মিলছে না অসুস্থ বিধায়ক মুকুল রায়ের। বিমানবন্দর থানায় বাবাকে নিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করলেন উদ্বিগ্ন ছেলে শুভ্রাংশু রায়। তাতে গুরুতর অভিযোগ করেছেন তিনি। শুভ্রাংশু জানিয়েছেন, সল্টলেকের বাড়ি থেকে তাঁর বাবাকে নিয়ে যান অজ্ঞাপরিচয় দুই ব্যক্তি। অসুস্থ বাবা তাঁদের সঙ্গে চলেও যান। আর তারপর থেকেই আর খোঁজ মিলছে না মুকুল রায়ের। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হতেই অবশ্য রাতের দিকে দিল্লি বিমানবন্দরে বিধায়ককে দেখা গিয়েছে বলে দাবি। সে বিষয়ে অবশ্য শুভ্রাংশু আর কিছু বলেননি।
ইদানিং মুকুল রায় সল্টলেকের বাড়িতে থাকতেন। সোমবারও ছেলের সঙ্গে সেখানেই ছিলেন। সেখান থেকেই আচমকা উধাও হয়ে যান বলে নিখোঁজ ডায়রিতে জানিয়েছেন ছেলে শুভ্রাংশু। শেষবার দমদম বিমানবন্দরে দেখা গিয়েছিল বাবাকে। তারপর আর কোনও খোঁজ মেলেনি।
এরই মধ্যে মুকুল রায়ের নামে দিল্লিগামী একটি বিমান টিকিটের ছবি ভাইরাল হয়। তা নিয়ে জল্পনার মাঝে সোমবার রাতেই বিধায়ককে দিল্লি বিমানবন্দরে দেখা গিয়েছে বলে দাবি করে এক সূত্র। কিন্তু কেন তিনি এভাবে আচমকা দিল্লি গেলেন, তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। কারও দাবি, তিনি চিকিৎসা করাতে দিল্লি গিয়েছেন। কেউ আবার প্রশ্ন তুলছেন, তাহলে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের দিয়ে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হল ফের বিজেপিতে ফেরানোর জন্য?
কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক সত্তরোর্ধ্ব মুকুল রায় অনেকদিন ধরেই অসুস্থ। এখানে তাঁর বিশেষ চিকিৎসা চলছে। তার জন্য মাঝেমধ্যে হাসপাতালে ভরতি হতে হয় তাঁকে। ২০২১এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে লড়াই করে জিতেছিলেন মুকুল রায়। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। যদিও দলবদল আইনের কারণে এই মুহূর্তে মুকুল রায় কোন দলের বিধায়ক, তা নিয়ে জটিলতা রয়েছে। তৃণমূলে যোগদানের পর থেকে বিধায়ক হিসেবে সেভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি তাঁকে। মূলত অসুস্থতার জন্যই তাঁকে বাড়তি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।