বালেশ্বরের বাহানগায় ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে হাওড়া থেকে দক্ষিণ ভারতগামী বহু ট্রেন বাতিল। বেশ কিছু ট্রেনের গতিপথ ঘোরানো হয়েছে। কবে থেকে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে পারে ট্রেন চলাচল, রবিবার দুর্ঘটনাস্থল থেকেই তা জানালেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি আরও জানিয়েছেন, তদন্ত শেষ হয়েছে। শীঘ্রই দেওয়া হবে রিপোর্ট। রেলের লক্ষ্য বুধবার সকালের মধ্যে লাইন মেরামতির কাজ শেষ করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা। এর মধ্যেই রেলমন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, দুপুর ১২টা ০৫ মিনিট থেকে ডাউন মেইন লাইন ট্রেন চলাচলের জন্য উপযুক্ত হয়েছে।
দুর্ঘটনায় বাহানগা স্টেশনে উপড়ে গিয়েছে রেল লাইন। লাইনের উপর জট পাকিয়ে রয়েছে তিনটি ট্রেন। তার জেরে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন। রেলমন্ত্রী বলেন, “আমরা আজ রেল লাইন মেরামতির চেষ্টা করছি। দেহ সরানো হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য বুধবারের মধ্যে মেরামতির কাজ শেষ করা, যাতে এই লাইনে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে পারে।” রেলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, লাইনে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের যে কামরা, চাকা পড়েছিল, তা সরানো হয়েছে। ডাউন মেইন লাইন ট্রেন চলাচলের জন্য উপযুক্ত হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বাহানগা স্টেশনের কাছে একটি মালগাড়িকে ধাক্কা দেয় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনের ২৩টি কামরার মধ্যে ১৫টি লাইনচ্যুত হয়ে পাশের লাইনে পড়ে। তখন তাতে ধাক্কা মারে হাওড়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। রেলওয়ের এক আধিকারিক জানান, সংঘর্ষে লিপ্ত দুটি ট্রেনের চালক ও গার্ড গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন এবং তাঁরা এই মুহূর্তে ওড়িশার একাধিক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ট্রেনের চালককে কটক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই মুহূর্তে তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। রেলসূত্রে খবর কটকের বাসিন্দা লোকো পাইলট জি এন মোহান্তি এবং ভদ্রকের বাসিন্দা এস্ট লোকো পাইলট বীরেন্দ্র বেহরা উভয়কেই ভুবনেশ্বরের এইমসে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা হয়েছে, তা নিয়ে এখনও রয়েছে অনেক প্রশ্ন। রেলের প্রাথমিক তদন্তরিপোর্টে বলা হয়েছে, সিগন্যালের গোলযোগের কারণেই দুর্ঘটনা।