বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ বছরের প্রথমেই ঘটে গেল বড়সড় রেল
দুর্ঘটনা। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছেন।
রেল চলাচল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহলের একটি অংশ মনে করছে, বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনে কোনও সমস্যার কারণে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে গেল। নিউ দোমহনি স্টেশন পেরোতেই ইঞ্জিনে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ঘটে এরপরই কিছু দূর গিয়ে বেলাইন হয়ে যায় ট্রেনের অন্তত ১০টি কামরা।
জানা যাচ্ছে, ২০১৫ সালে ‘ওয়াপ-ফোর’ ইঞ্জিন তৈরি বন্ধ হয়ে যায়। এই ইঞ্জিনের তলার দিকে লাগানো থাকে চারটি করে ট্র্যাকশন মোটর। এই ট্র্যাকশন মোটর থেকে শক্তি পৌঁছায় ইঞ্জিনে। সেই শক্তিতে ভর করে কামরা নিয়ে ট্রেন চলে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন ইঞ্জিনের তলায় লাগানো চারটি ট্র্যাকশন মোটরের একটি সম্ভবত বিকল হয়ে খুলে যাওয়ার পাশাপাশি রেলের ইঞ্জিন ও রেললাইনের মাঝে তা আটকে যায়।
সেই মুহুর্তে বিকানের এক্সপ্রেস ছুটছে অন্তত ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিতে। প্রবল গতিতে থাকায় খুলে যাওয়া ট্র্যাকশন মোটর ইঞ্জিন ও রেললাইনের ফিশপ্লেটের মাঝে আটকে ঘষতে ঘষতে চলে। এরই মধ্যে গতির জেরে ইঞ্জিনের শেষ দিকের চাকার (হুইল অ্যাসেম্বলি বা একসঙ্গে ছ’টি চাকা) সঙ্গে ধাক্কা লেগে চাকাসুদ্ধ ট্র্যাকশন মোটর ছিটকে বেরিয়ে আসতে চায় ইঞ্জিনের তলা থেকে। যদিও চালক আপৎকালীন ব্রেক কষলেও গতির অভিঘাতে ইঞ্জিনের পিছনের কামরাগুলো একে একে লাইনচ্যুত হতে শুরু করে।
ইঞ্জিনের ট্র্যাকশন মোটর ভেঙেই ঘটেছে দুর্ঘটনা । এম ভারত নিউজ
Read Time:2 Minute, 21 Second