তিন ঘন্টার লুকোচুরি। রুদ্ধশ্বাস খোঁজাখুঁজি। শেষে স্বস্তি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেটের। তারাপীঠ মন্দিরে খোঁজ মিলল অনুব্রত মণ্ডলের। ফের কমিশনের নজরবন্দি বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। মঙ্গলবার বিকেলে ৫:৩০ নাগাদ বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে নজরবন্দি করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বুধবার নির্বাচন কমিশনের নজরদারি এড়িয়ে দুপুর ১২টা নাগাদ আচমকাই উধাও হয়ে যান অনুব্রত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে গোটা বীরভূমে। তারপরই কমিশনের আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনী হন্যে হয়ে খুজতে শুরু করে অনুব্রত মন্ডলকে। অবশেষে ৩ঘন্টার খোঁজাখুঁজির তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায় তারাপীঠ মন্দিরে।
উল্লেখ্য ২৯ শে এপ্রিল বীরভূমে বঙ্গ বিধানসভার শেষ দফায় ভোটগ্রহণ। এর আগে মঙ্গলবার বিকাল ৫:৩০ টা থেকে ৩০শে এপ্রিল সকাল ৭টা পযর্ন্ত বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করে নির্বাচন কমিশন। তাঁর বাড়ির সামনে পাহারায় বসেন কমিশনের আধিকারিকরা। বুধবার সকালে কমিশনের আধিকারিকদের সামনেই বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকার নিজের বাড়ি থেকে গাড়ি করে থেকে বের হন অনুব্রত । তাঁর গাড়ির পিছনের গাড়িতে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী ও কমিশনের আধিকারিকরা। এরপর হঠাৎ একটি রাস্তার বাঁক নেওয়ার সময় উধাও হয়ে যান অনুব্রত মন্ডল। তারপর থেকে তাঁর গাড়ির হদিশ পেতে হন্যে হয়ে খুঁজতে শুরু করেন কমিশনের আধিকারিকরা ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। তখন অনুমান করা হয় যে অনুব্রত মন্ডল বীরভূমের স্পর্শকাতর এলাকা অর্থাৎ নানুর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় থাকতে পারেন। কিন্তু অবশেষে কেষ্টর হদিশ মিলল তারাপীঠ মন্দিরে।
ভোট শুরু হতেই ভয়ংকর খেলার ডাক দিয়েছিলেন অনুব্রত মন্ডল । কমিশনের আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে তিনি তাঁর সেই খেলার নমুনা দেখালেন এদিন।