মাত্র ৪০ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লা। অভিনেতার এই আকস্মিক প্রয়াণ ফের একবার প্রমাণ করে দিল মানুষের জীবন কতটা ক্ষণস্থায়ী। এত কম বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু কিভাবে সম্ভব? কিন্তু বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্টদের দাবি,বিগত ১০-১৫ বছরে কমবয়সীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে বহুগুণ। যার মূল কারণ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন,ধূমপান,মদ্যপান,কর্মক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতা, ডিপ্রেসন ইত্যাদি।ডাক্তারদের মতে, স্মার্টফোনে বন্দি জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত প্রজন্মের মধ্যে সুস্থ জীবনযাপনের চাহিদা কম। অনিয়ন্ত্রিত ধূমপান, মদ্যপান ও অন্যান্য নেশাও বাড়াচ্ছে হৃদরোগের সম্ভাবনা।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/09/heartattack.jpg)
দিনে মাত্র একটি সিগারেটও ভয়ঙ্কর ক্ষতি করতে সক্ষম। তাছাড়া ওয়ার্ক প্রেসার এবং কর্মজীবনে প্রতিযোগিতা বাড়াচ্ছে মানসিক চাপও যার ফলে বাড়ছে দুশ্চিন্তা,মানসিক চাপও। এছাড়া ডিপ্রেসন এই জেনারেশনের ভীষণ সাধারণ অসুখ হয়ে উঠেছে যার ফলে চাপ পড়ছে হার্টে।এসব থেকে মুক্তির উপায় কি? ডাক্তারদের পরামর্শ,রোজ অন্তত ৩০-৪৫ মিনিট বিভিন্ন এক্সারসাইজ করুন,যার জেরে সুস্থ থাকবে মন এবং দেহ দুই’ই। নেশা এড়িয়ে চলুন,মন ভালো রাখুন,গান শুনুন। পরিবারের সঙ্গে রোজ নিয়ম করে সময় কাটান। সর্বোপরি সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে জীবনকে উপভোগ করুন তাহলেই এড়ানো যাবে হৃদরোগের সম্ভাবনা। সর্বোপরি নিজের হার্টের যত্ন নিন।