অবশেষে মুগবেড়িয়া ছেড়ে অন্য গ্রামের পথে রওনা দিতে চলেছে দা আরসিএম স্বপ্নীল এবং সদিচ্ছা নামক এই দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ক্রমাগত বন্যাদুর্গত পরিস্থিতিতে আটকে থাকা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করে চলেছে দা আরসিএম স্বপ্নীল এবং সদিচ্ছা নামক এই দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। দেখতে দেখতে ২৮ দিন পার করল তাঁদের এই প্রয়াস। দীর্ঘদিন ধরে বন্যাদুর্গত মানুষের মুখে খাদ্য তুলে দিয়েছে এই দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ঠিক তেমনি আজ ২৮ তম দিনে পদ্মতামিলী গ্রামের হেঁশেলে মানুষের জন্য আমিষ খাবার রান্না করেছেন তাঁরা। আজকের খাদ্যতালিকায় ছিল ভাত ,ডাল, আলু তরকারি এবং ডিম সেদ্ধ। সব মিলিয়ে তিনটি ক্যাম্প থেকে প্রায় ১৫০০ জন খাদ্য গ্রহণ করেছেন আজ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়াই জল ছেড়েছে বিভিন্ন ব্যারেজ। আর তারপরই বন্যা বিধ্বস্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলাতে। তার মধ্যে সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পূর্ব মেদনীপুর। জানা যাচ্ছে, জল নেমে গেলেও বেশ কিছু জায়গায় এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি। ঠিক তেমনি মুগবেড়িয়া অঞ্চলের জল নেমে যাওয়ার পরে সেখান থেকে নিজেদের হেঁশেল অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল দা আরসিএম স্বপ্নীল এবং সদিচ্ছা। জানা যাচ্ছে ভগবানপুর ২ ব্লকের রাধাপুর অঞ্চলে জল এখনও হাঁটুর উপরে। তাই আগামীকাল তাঁদের নতুন হেঁশেল শুরু হবে রাধাপুর অঞ্চলের লালবাজার দুর্গা মন্দিরে। মোট ৬ টি ত্রান শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেগুলি হল, হরিপুর হাইস্কুল, মাধবপুর মহেন্দ্র নারায়ন বালিকা বিদ্যালয়, মাধবপুর ইন্দ্রনারায়ন হাইস্কুল, লালবাজার বাজার ক্যাম্প ও মাছনান ত্রান শিবিরের প্রায় ১৫০০ জনের রান্না হবে। ৩ টি ক্যাম্প যথা হরিপুর বাজার, মাধবপুর স্কুল মোড় ও লালবাজার বাজারে সবার খাদ্য বিতরন হবে। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই ওই এলাকার খাদ্য সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই মিশনে অংশগ্রহণ করার জন্য সকলের কাছে আর্থিক সাহায্য চাওয়া হয়েছে দা আরসিএম স্বপ্নীল এবং সদিচ্ছা নামক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফ থেকে। দাতারা ভারতীয় ইনকাম ট্যাক্স বা আয়করের ৮০ জি আওতায় সুবিধা পাবেন। দা আরসিএম স্বপ্নীলের ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার হল ৩২৮০২১২৯৯৮৯। স্টেট ব্যাংকের আওতাভুক্ত এই অ্যাকাউন্টটি বাঘাযতীন স্টেশন রোডে অবস্থিত। এছাড়া এই একাউন্টের জন্য প্রয়োজনীয় আইএফএসসি কোড হল SBIN০০১৬৬২৯।