লোকসভা ভোটের আগে বাংলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সন্দেশখালি ঘটনার আবহে দুদিনের কর্মসূচিতে রাজ্যে মোদী। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর আগমন অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ। আজ আরামবাগ থেকে সভা সেরে মোদী সোজা চলে আসেন রাজভবনে। সেখানেই আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুজনের মধ্যে বৈঠক হয়।
এদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এটি কোনও রাজনৈতিক বৈঠক নয়, সৌজন্যমূলক বৈঠক। আমি এই মুহূর্তে বৈঠকে কি আলোচনা হল তা নিয়ে কিছু বলব না, যা বলার দল পরে বলবে।’ এদিন সাংবাদিকরা মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন প্রধানমন্ত্রীকে কি দিয়ে আপ্যায়ন করা হল? বাংলার দই কি মোদীকে দেওয়া হয়েছে? উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাংলায় অতিথিরা এলেই তাঁদের সব সময় মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
মোদীর সঙ্গে মমতার ওই বৈঠক নিয়ে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আরামবাগেই তিনি বলেন, ‘‘রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর পা ধরতে যাচ্ছেন! কিন্তু এ সব করে কোনও লাভ হবে না।’’
শুক্রবারই রাজ্যে পা রেখেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন হুগলি জেলার আরামবাগে একটি সভা করেন তিনি। সঙ্গে ছিল কিছু সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এদিনের সভা শেষ করে কলকাতায় ফেরেন তিনি। কলকাতায় ফিরে সোজা যান রাজভবনে। রাজভবনে রাত্রিবাস করার কথা রয়েছে তাঁর। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও সরকারী তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাসে ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজের টাকা, আবাস যোজনার টাকা-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে সুর তুলেছেন তৃণমূল। দিল্লিতে প্রতিবাদ পর্যন্ত করেছে তারা । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সাংসদ বিধায়করা দিল্লিতে সুর তোলেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে। কলকাতায় রেড রোডে ধরনায় পর্যন্ত বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।