
বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তথা আচার্য নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তাঁর বক্তৃতায় উঠে এসেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সহ ঠাকুর পরিবারের একাধিক প্রসঙ্গ। এবার তা নিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না রাজ্যের মন্ত্রী, তথা তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে খানিকটা হতাশার সুরে তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ আমাকে অবাক করেছে।’’
তাঁর প্রশ্ন, ‘‘রবীন্দ্রনাথের মেজদাকে আগাগোড়া কেন বড়দা বলে গেলেন প্রধানমন্ত্রী?’’ শুধু তাই নয়, মেজদা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী-র নাম বলতে গিয়েও মোদি ভুল উচ্চারণ করে ‘জ্ঞানন্দিনী’ বলেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে যে গুজরাত যোগের কথা বলেছেন মোদি, এদিন প্রধানমন্ত্রীর সেই বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন ব্রাত্য বসু। তাঁর মতে, ‘‘অর্ধসত্য বলেছেন মোদি।
স্বাধীনতা আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগ প্রসঙ্গে মোদীর মন্তব্যেরও কথা তুলে ধরেন তৃণমূল নেতা। তাঁর কথায়, ‘‘স্বাধীনতা আন্দোলনে কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান আছে, তার উল্লেখ করতে গিয়ে মোদী দিল্লি থেকে লাহৌর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করলেন। কিন্তু কোথাও একবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উচ্চারণ করেননি।’’ তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপিকে চাপে রাখতে কোনও প্রসঙ্গই বাদ দিচ্ছে না তৃণমূল। যা থেকে বোঝা যায় একুশের নির্বাচনে এবার ঘাসফুলের হাতিয়ার বাংলার সংস্কৃতি।