২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়াতে সভা করতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানেই তাঁকে হত্যা করার প্রচেষ্টায় মঞ্চের নিচে বিস্ফোরক পুঁতে রাখা হয়েছিল। এই ঘটনা সামনে আসার পর প্রায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশ পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা চলে দীর্ঘ ২১ বছর ধরে ।আজ মঙ্গলবার এই মামলার রায় বেরিয়েছে। শুনানিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাদের।
এই ঘটনার জন্য মূলত তিনটি মামলা করা হয়েছিল যার মধ্যে দুটি মামলার শুনানি আগেই শোনানো হয়েছে আর আজ শেষ মামলার শুনানির জন্য অপেক্ষা করছিলেন বিচারপতিরা। আজকের রাই দানের সময় জানানো হয়েছে এই ধরনের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজন ।সেই কারণেই আজ তাঁদের ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড হিসাবে ফায়ার স্কোয়াডে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করার রায় দেওয়া হয়েছে। ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে তরফ থেকে এই রায় শোনানো হয়। এদিকে রাষ্ট্র পক্ষের উকিল আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন , শেখ হাসিনা হত্যার চেষ্টা মামলায় অভিযোগ প্রমাণ করতে তাঁরা সক্ষম হয়েছেন। পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুসারে ২৩ শে মার্চ অর্থাৎ আজকেই শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল সেইমতো রায় দেয় বাংলাদেশ আদালত।