আরজিকরে ডাক্তারি পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। মৃত ডাক্তারি পড়ুয়া মৌমিতা দেবনাথ সোদপুরের বাসিন্দা ছিলেন। মৌমিতার বাবার সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চেস্ট ডিপার্টমেন্টের পোস্ট গ্রাজুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন মৌমিতা। গভীর রাতে এই ডিপার্টমেন্টের সেমিনার রুম থেকেই তাঁর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহের পাশে মোবাইল, ল্যাপটপ এবং ব্যাগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় মৌমিতার দেহ মাটিতে পড়ে ছিল। মাটি থেকে উঁচু কিছু জিনিসের উপরে মৃতার দেহ শোয়ানো অবস্থায় ছিল। গায়ে ছিল নীল কাপড়। আজ শুক্রবার ট্রেনি ওই চিকিৎসকের দেহ ময়না তদন্ত হবে আরজি কর হাসপাতালেই। বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পড়ুয়া। জানা গেছে, ৩৬ ঘণ্টা টানা ডিউটির পরে বিশ্রাম নিতে আর পড়াশোনার জন্য সেমিনার রুমে গিয়েছিলেন ওই পড়ুয়া। তার আগে ডিনার সারেন তিনি। ওই ছাত্রী যাদের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেছিলেন, শেষ সময় পর্যন্ত যাদের সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের বয়ান রেকর্ড করবে পুলিশ।
এমনকি কে কে ছিলেন গতকাল ডিউটিতে, সেই বিষয়েও খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে কোনও সিসি ক্যামেরা মেলেনি। প্রথমবর্ষের পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের পরে খুন করা হয়েছে তাঁকে। খবর পেয়েই তারা তড়িঘড়ি হাসপাতালে পৌঁছলেন তারা। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ডিন অব স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার বুলবুল মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত এই তদন্ত কমিটি।
জানা গেছে, সোদপুরের অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী বলে পরিচিত ছিলেন মৌমিতা। খুব মিশুকে, পরোপকারি বলে পাড়ায় খ্যাতি ছিল। সম্প্রতি নিজের গাড়ি কিনেছিলেন। বেশিরভাগ দিন সোদপুর থেকেই পড়তে যেতেন।