ঘুমের দেশে পাড়ি দিলেন ফেলুদা
। বিদায় ‘অপু’। টুইটে বর্ষীয়ান অভিনেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার অভিনেতার মৃত্যুসংবাদ পেয়ে বেলভিউ হাসপাতালে পৌঁছে যান তিনি। সেখানে সৌমিত্র–কন্যা পৌলমী বসুর সঙ্গে দেখা করেন মমতা। শোকার্ত হয়ে এদিন তিনি বলেন, `ওঁর কোভিড সেরে গিয়েছিল। কিন্তু অন্য অনেক শারীরিক সমস্যা ছিল। প্রত্যেকে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমরা তাঁকে ধরে রাখতে পারলাম না।’ বাংলার কাছে এক দুঃখের দিন বলে মমতা বলেন, চলচ্চিত্র জগতের এক মহীরূহকে হারিয়েছে। ‘শুধু সিনেমা, নাটক, নাট্য নির্দেশনা, নাটক, কবিতা নয়, গণ আন্দোলন ও মানবিক আন্দোলনেও সব সময় পাশে দাঁড়িয়েছেন সৌমিত্রদা।’ এদিন প্রয়াত প্রয়াত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মমতা বলেন, ‘সৌমিত্রদা আপনি যেখানেই থাকুন, ভাল থাকুন, শান্তিতে থাকুন। বাংলার মাটিতে ফিরে আসার অপেক্ষায় রইলাম।’ সৌমিত্রবাবুর পরিবার, পরিজন ও সকলকে এদিন সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2020/11/WhatsApp-Image-2020-11-15-at-4.53.23-PM.jpeg)
বিশ্ববরেণ্য চিত্রপরিচালক সত্যজিৎ রায়ের চোদ্দটি ছবি-সহ সৌমিত্রবাবু দু’শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলি হল অপুর সংসার, চারুলতা, অভিযান, অরণ্যের দিনরাত্রি, অশনি সংকেত, সোনার কেল্লা, জয় বাবা ফেলুনাথ, হীরক রাজার দেশে, ঘরে বাইরে, গণশত্রু, গণদেবতা, ঝিন্দের বন্দী, তিন ভুবনের পারে, ক্ষুধিত পাষাণ, কোনি ইত্যাদি। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় একাধারে ছিলেন প্রবাদপ্রতিম চলচ্চিত্র ও মঞ্চাভিনেতা, পাশাপাশি অসামান্য বাচিক শিল্পী, কবি, লেখক, নাট্যকার এবং নাট্যনির্দেশক। অর্থাৎ তাঁর সম্পর্কে যতই বলা হয় ততই যেন কম হয়ে যায়।এদিন তাঁর দেহ গল্ফগ্রিনের বাড়িতে যাওয়ার পর রবীন্দ্রসদনে রাখা হয় মরদেহ। তারপর পদযাত্রার মাধ্যমে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে নিয়ে যাওয়া হবে শেষকৃত্যের জন্য। সেখানেই গানস্যালুট দেওয়া হবে প্রবাদ প্রতীম এই শিল্পীকে।