করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউয়ে রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কপালে। এরইমধ্যে সংক্রমনের দিক থেকে ব্রাজিলকে পেছনে ফেলেছে ভারত। সেই কারণেই বিভিন্ন রাজ্যের ইতিমধ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে পাশাপাশি বেশ কয়েকটি রাজ্যের নাইট কারফিউ পালন করা হচ্ছে । সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণের সংখ্যা দেখা গিয়েছিল মহারাষ্ট্রে। ইতিমধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের সুরক্ষার্থে বেশ কয়েকটি রাজ্যে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে একাধিক রাজ্যের সমস্ত স্কুলের অফলাইন পঠন-পাঠনও বন্ধ রাখবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে মহারষ্ট্রে নিচু ক্লাসের পরীক্ষা বন্ধ রাখলেও বোর্ড পরীক্ষার পড়ুয়াদের জন্য ঠিকই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সরকার সেই দিকে তাকিয়েছিল ছাত্র-ছাত্রী সহ অভিভাবক অভিভাবিকারা। ইতিমধ্যেই সে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে, সোমবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বর্ষা গায়কোয়াড জানিয়ে দিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ অতিরিক্ত বাড়বাড়ন্তের কারণে, ক্লাস ১০ এবং ১২-এর পড়ুয়াদের বোর্ড পরীক্ষা মে মাসের শেষের দিকে নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এই সমস্যার হাত থেকে বাঁচাতে ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেসের নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ইতিমধ্যেই ,তিনি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছিলেন, ভবিষ্যতের যুব সমাজকে নিরাপত্তা দেওয়ার তাগিদেই পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারটি আরও একবার বিবেচনা করে দেখার জন্য।অনুরোধ জানিয়ে চিঠিতে তিনি লেখেন, “রোজ এক লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এই অবস্থায় প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে নিরাপত্তা দেওয়া বাস্তবসম্মত নয়। রাজনৈতিক নেতা হিসাবে আমাদের কর্তব্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করা। দয়া করে সেটা করুন। পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে পরীক্ষা বাতিল করুন।”
করোনার এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষা আয়োজন করা নিয়ে কেন্দ্রকে আরও একবার ভাবনাচিন্তার পরামর্শ দিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি লিখলেন, “দেশজুড়ে যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে, সেই সময়ে সিবিএসই পরীক্ষা আয়োজন করা নিয়ে আবার ভাবনাচিন্তা করা উচিত।”বোর্ড পরীক্ষা করোনার কারণে পিছিয়ে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠকের পরে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান বর্ষা গায়কোয়াড। তিনি আরও বলেন যে ,রাজ্যের করোনা সংক্রমণ নিয়ে চিন্তাগ্রস্থ রয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তাই এমন পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনকে বিপন্ন করতে পারেন না তিনি। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মহারাষ্ট্র সরকারের তরফ থেকে।