১৫ই আগস্ট কার্যত বিনা বাধায় আফগনিস্তান দখল নেয় তালিবানরা। এরপরই পঞ্জসির উপত্যকায় তালিবান বিরোধী প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তোলে নর্দ্যান অ্যালায়েন্স। সমগ্র আফগানিস্তান দখল নিলেও এতদিন পঞ্জসির দখল করতে পারেনি তালিবানরা। প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট সালেহ তালিবানদের দেশ থেকে দূর করার ডাক দিয়েছিলেন পঞ্জসির থেকে।
কিন্তু শনিবার পঞ্জসিরও দখল নিল তালিবানরা,এমনটাই দাবি তালিবানদের। আফগান মিডিয়া সূত্রে খবর, নর্দ্যান অ্যালায়েন্স-এর দক্ষ সেনাবাহিনীও আপাতত হার মেনেছে তালিবান জঙ্গিদের কাছে। পঞ্জসির উপত্যকা দখল করেছে তালিবানরা। সেই খুশিতে কাল প্রায় সারা রাত ধরে অগুনতি গুলি ও বোমা বর্ষণ করে জয় উদযাপন করে তালিবানরা। এ বিষয়ে তালিবানদের দাবি, ভয় পেয়ে পালিয়েছেন আমরুল্লা সালেহ ও আহমেদ মাসুদ ভয় পেয়ে পালিয়েছেন। এবারে সমগ্র দেশে শরিয়ত আইন মোতাবেক করবে তালিবানরা।
যদিও এই ঘটনা চিন্তা বাড়িয়েছে দিল্লির। ইতিমধ্যেই কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভোল পাল্টেছে তালিবান। এবার সমগ্র আফগানিস্তান দখলের ফলে লস্কর-ই-তৈয়বা, আইএসআই-এর মত জঙ্গি সংগঠনের ঘাঁটি হয়ে উঠবে আফগানিস্তান। যার সুযোগ নিয়ে ফের কাশ্মীরকে অশান্ত করে তুলতে পারে ইসলামাবাদ। জঙ্গিদের মাধ্যমে পাক সেনাবাহিনী কাশ্মীরি যুবকদের হাতে ফের তুলে দিতে পারে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র। যার ফলে চিন্তার ভাঁজ মোদি সরকারের কপালে।