ভোট পরবর্তী সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর সামনে এসেছে এবং এরমধ্যে হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রামও বাদ যায়নি। সেখানে জয়লাভ করেছেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপর থেকেই একের পর এক অশান্তির খবর সামনে এসেছে। কোথাও দোকানপাট লুট করা হচ্ছে, তো কোথাও বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে । এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলের চর্চার অন্যতম বিষয় হয়ে উঠল শুভেন্দু অধিকারী এবং প্রলয় পালের কল রেকর্ডিং, যদিও সেই রেকর্ডের সত্যতা আমরা যাচাই করিনি। কিছুদিন আগেই ভোট চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপি নেতা প্রলয় পালের একটি কল রেকর্ডিং সামনে এসেছিল, এবং পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছিলেন রেকর্ডিং-এর গলাটি তাঁর নিজের। যদিও এখনও পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারী তাঁর এই কল রেকর্ডিং-এর বিষয়ে কোনো সাফাই দেননি।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/05/IMG-20210505-WA0004.jpg)
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই ফোন কলে প্রলয় পাল সাধারণ মানুষকে বাঁচানোর পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করেন শুভেন্দু অধিকারীকে।এইপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী বলেন ,নন্দীগ্রামে বিজয়ী প্রার্থী হয়েও শংসাপত্র আনতে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। শুধু তাই নয় পাশাপাশি বলেন, বুলেটপ্রুফ গাড়ি থাকার কারণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি, না হলে ঢিল এসে মাথায় লাগলে তাঁকেও হাসপাতালে যেতে হতো ।পাশাপাশি প্রলয় পালকে অনুরোধ জানান সমস্ত আহত কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য । কেউ সহযোগিতার জন্য এলে তাঁকে ফিরিয়ে যেন না দেওয়া হয়। এমনকি নন্দীগ্রামের আক্রান্ত মানুষদের আগামী তিন-চার দিনের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে।
তাঁদের ফোনের এই কথোপকথনের মধ্যে আরও একবার নন্দীগ্রামে বিজয়ী হওয়ার আনন্দ বার্তা বিনিময় ফুটে ওঠে । নন্দীগ্রাম নিয়ে ভবিষ্যতে আশাবাদী শুভেন্দু বলেন, “যদি বেঁচে থাকি তাহলে সরকার ঘুরিয়ে নেব।” ভবিষ্যতে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার ব্যাপারেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তিনি। উল্লেখ্য পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকার ব্যাপারেও কথা হয় তাঁদের মধ্যে। শুভেন্দু অধিকারী জানান ,বর্তমানে নয়া সরকার গঠন হতে চলেছে। আর এই খবর ইতিমধ্যেই সকলেই জানে। তাই পুলিশ প্রশাসনও চাইছেনা রাজ্য সরকারকে নতুন করে চটাতে। সম্পূর্ণ রেকর্ডিংয়ে এই সমস্ত বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা হলেও, এখনও পর্যন্ত এই রেকর্ডিং-এর সত্যতা যাচাই করে উঠতে পারেনি এম ভারত।