চিকিৎসা করার অজুহাতে রোগিনীকে ধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড় কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ। খাস কলকাতার বুকে এমন ঘটনায় স্তম্ভিত সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে হাড়োয়ার বাসিন্দা ওই মহিলা বেশ কিছুদিন ধরে ভুগছিলেন নার্ভের সমস্যায়। চিকিৎসা করানোর জন্য স্বামী এবং পরিজনদের সাথে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে আসেন ওই মহিলা। সেখানে তাঁকে রক্ত পরীক্ষার জন্য উলটো দিকের একটি বিল্ডিংয়ে যেতে বলা হয়। মহিলা উল্টোদিকের বিল্ডিংয়ে গেলে সেখানে হাসপাতালের এক কর্মী জানান তিনিই রক্ত পরীক্ষা করবেন। এর পর সেই কর্মী মহিলার স্বামী এবং আত্মীদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে মহিলাকে একটি বন্ধ ঘরে নিয়ে যান। সেখানেই দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করা হয় মহিলাকে, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।
মহিলার চিৎকার শুনে সেই বন্ধ ঘরে ছুটে যান তাঁর স্বামী ও পরিজনেরা। বেগতিক দেখে অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধরে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ। পরে মহিলার পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে মহিলাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশের তদন্তকারী দল।
পুলিশ সুত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম সতীশ সিংহ। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের গ্রুপ ডি কর্মী সতীশ।তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
হাসপাতালের মধ্যেই এমন অপরাধের কথা জানাজানি হওয়ার পরই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অন্য রোগী ও তাঁদের আত্মীয় পরিজনরা। এই ঘটনার পরে এখন কার্যতই প্রশ্নের মুখে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের রোগী সুরক্ষা।