দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নানা ওঠা পড়া আর তারপর সামাজিক কাজে নিজেকে যুক্ত করা। এভাবেই নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলেন শিক্ষাবিদ তথা সমাজসেবী আরএসপি নেতা মিহির সেনগুপ্ত। ৪ ঠা জানুয়ারি ২০২৩ তিনি প্রয়াত হন তিনি। শুক্রবার শিক্ষাবিদ তথা সমাজসেবী কমরেড মিহির সেনগুপ্তের স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনকে স্মরণ করতে এদিন সন্ধ্যা ৬ টায় দমদমের কিশোর ভারতী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেবী নিবাসে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল।
তিনি শুধুমাত্র আরএসপির বর্ষীয়ান নেতা ছিলেন না, দমদম কিশোর ভারতী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন। শুধু তাই নয়, কিশোর ভারতী হাই স্কুলেরও প্রতিষ্ঠা করেন। পুরুলিয়ার কিশোর ভারতী আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন তিনি। কাশীপুর কিশোর ভারতী আশ্রমেরও স্রষ্টাও ছিলেন তিনি। হেড মাস্টার মশাই নামেই সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন তিনি। এদিনের স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন আরএসপির বর্ষীয়ান নেতা ও বিশিষ্টজনেরা।
রবীন্দ্র সংগীত গানের মাধ্যমে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। অনুষ্ঠানের পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সনৎ ঘোষ। কমরেড মিহির সেনগুপ্তের কাছের মানুষ তথা কিশোর ভারতীর দ্বিতীয় প্রাণ পুরুষ, আরএসপি নেতা দিলীপ মজুমদারের তত্ত্বাধানে এদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি নিজেকে সামাজিক কাজেও যুক্ত রেখেছিলেন মিহির সেনগুপ্ত। রাবীন্দ্রিক ভাবধারায় তিনি বহু বিদ্যালয় গড়ে তুলে ছিলেন। বাংলা মাধ্যমে যে আদর্শ বিদ্যালয় গড়ে তোলা যায়, তার যোগ্য প্রমাণ কিশোর ভারতী বিদ্যালয়। আর যার যোগ্য কাণ্ডারি ছিলেন মিহির সেনগুপ্ত।
তাঁর বহু কৃতী ছাত্র দেশে বিদেশে সসম্মানে ছড়িয়ে রয়েছেন। শিক্ষা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার নিরিখে তাঁর কর্মকাণ্ডের ব্যাপ্তি ছিল সুদূর প্রসারী। সবমিলিয়ে এদিনের অনুষ্ঠানে তাঁর কর্মকাণ্ডকেই বারবার স্মরণ করা হয়।
আরও পড়ুন