বিভিন্ন দেশ থেকে বৈজ্ঞানিকরা কেবলমাত্র হিমালয়ের ওপর অধ্যাবসায়ের জন্য হিমালয়ের পাদদেশে দীর্ঘদিন গবেষণার কাজ চালিয়ে যান । প্রধানত হিমালয়ের অবস্থান পরিবর্তন ঘটছে কিনা ,আগামী দিনে কোন বিপর্যয়ের সম্ভাবনা আছে কিনা, আগামী দিনে কি কি পরিবর্তন আসতে চলেছে সেই বিষয়ে গবেষণা করতে থাকেন তারা। গত ১৫ বছর ধরে সেই কাজই করে চলেছে আর্যভট্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ অবজারভেশনাল সায়েন্স বা ARIES। সেখানকার বিজ্ঞানীদের মতামত অনুসারে হিমালয়ের পাদদেশে থেকে গবেষণা করে যে শান্তি পাওয়া যায় সেই শান্তি পৃথিবীর আর কোন জায়গাতে পাওয়া যায় বলে তাঁরা মনে করেন না।

সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে আযভট্ট রিসার্চ সেন্টারের বৈজ্ঞানিক মনীষ নাজার জানিয়েছেন,আফগানিস্তান থেকে মায়ানমার- হিন্দুকুশ পর্বতমালার ৩০০০ কিমির রেঞ্জের বিভিন্ন প্রান্তে গবেষকরা কাজ করছেন। এই এলাকাতে সবথেকে ভালো বিষয়টি হলো এখানে সমতলের দূষণ একেবারেই অনুপস্থিত পাশাপাশি মনোরম পরিবেশের জন্য মন দিয়ে কাজ করা সম্ভব হয় ।তবে বর্তমানে বৈজ্ঞানিকরা কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তিনি জানিয়েছেন যবে থেকে লাদাখ চীন সমস্যা শুরু হয়েছে তবে থেকেই লাদাখের বুকে রিসার্চ করতে বাধা পেতে হচ্ছে তাদের। পাশাপাশি তিনি এও জানান কিছুদিন আগে থেকেই ওই অঞ্চলে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে বিভিন্ন দেশের সাথে যে তথ্য আদান-প্রদানের প্রয়োজন পরে তাও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।