গত ২ মে নির্বাচনী ফল প্রকাশের পর জেলায় জেলায় বিভিন্ন সন্ত্রাসের চিত্র আমাদের সামনে উঠে আসে। ২ মে নির্বাচনী ফল প্রকাশে হাওড়া জেলাজুড়ে কার্যত বিজেপির ভরাডুবীর পর থেকেই ঘরছাড়া ছিলেন বাগনান বিধানসভার ২ নং মন্ডলের বিজেপি যুবমোর্চার সভাপতি মিঠুন চক্রবর্তী। দীর্ঘ ৩৭ দিন ঘরছাড়া থাকার পর গত ১২ ই জুন গ্রামীণ হাওড়ার বাগনান বিধানসভার ওরফুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোড়ামান্না গ্রামে নিজের বাড়িতে ফেরেন মিঠুন।
ঐদিন রাতের অন্ধকারে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের প্রহৃত হন ঐ বিজেপির যুবনেতা। লাঠি লোহার রড দিয়ে মারার ফলে পায়ের একাধিক অংশে হাড় ভেঙ্গে যায়। দীর্ঘ কয়েকদিন চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা বুধবার সকালে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেন। দলীয় ঐ কর্মীকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে পৌঁছে দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী,অনুপম মল্লিক,উমাশঙ্কর হালদার সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব। পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে সমস্ত রকম দলীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কড়া সুরেই জানায় মুখ্যমন্ত্রীকে নবান্ন থেকে এসে মিঠুন ও তার পরিবারকে দেখে যেতে ও সুপ্রিম কোর্টে যে হলফনামা দেওয়া হয়েছিল তা যথাযথ পালন করতে। সন্ত্রাস ঘটছে তাতে যেন মুখ্যমন্ত্রীর নজর পড়ে। অবশেষেশাসকদলকে সংযত হওয়ার পরামর্শ দেন।