গত এক বছরে করোনা সংক্রমনের জেরে সকল দেশের অর্থনৈতিক গ্রাফ ক্রমশ নিম্নগামী। তবে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে নয়া সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বাইডেন সরকার। তিনি চাইছেন কর্পোরেট করের হার ২১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৮ শতাংশ করতে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কর বৃদ্ধি প্রভাব ফেলতে পারে ভারতীয় অর্থনীতিতেও । কারণ বর্তমানে ভারতে দ্বিতীয় করোনার ঢেউ চলছে ,এতে প্রায় সংক্রমিত হয়েছে গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই দেশের অর্থনীতি নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা।

এরইমধ্যে বাইডেনের এহেন সিদ্ধান্ত ভারতের অর্থনৈতিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে বাইডেনের কর্পোরেট করের এই নয়া সিদ্ধান্ত, ২০১৯ সালের উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই করনীতি বিশেষ প্রভাব ফেলবে। বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন, “বাইডেন প্রশাসনের নতুন করনীতি ভারতের উৎপাদন ক্ষেত্রের করনীতির পরিপন্থী। “
এদিকে ভারতের তরফের উৎপাদন কোম্পানিগুলির কথা মাথায় রেখে, বাড়তি সুযোগ সুবিধা দিয়ে কর্পোরেট কর ১৫%–এ কমিয়ে আনা হয়েছে । এক্ষেত্রে থাকে যাচ্ছে প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা মতে তাহলে অতিরিক্ত শুল্ক গণনার পদ্ধতিটি ঠিক কি হতে চলেছে? শুধু তাই নয় তথ্য বলছে ইতিমধ্যেই আমেরিকান বেশ কয়েকটি কোম্পানি ভারতীয় নতুন শুল্কের নীতি অনুসারে সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছে । সেখানে আমেরিকার তরফ থেকে কিভাবে এই নতুন শুল্ক গ্রহণের পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে সে বিষয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা।