পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসক বিরোধী দু’পক্ষই। তীব্র দাবদহকে উপেক্ষা করেই বাঁকুড়ার ওন্দাতে জনসভা সারলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যদিকে কিছু সময়ের ব্যবধানে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে জনসভা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। একে অপরকে রাজনৈতিক জমি ছাড়তে নারাজ দু’জনেই। এদিন অভিষেক বলেন, “২০১৯ ও ২০২১ সালে বিজেপিকে ভোট দিয়ে বাঁকুড়ার মানুষ পাপ করেছেন। সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।” বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন,”ক্ষমতা থাকে মানুষের হাতে। ক্ষমতা অন্য কারও হাতে নেই। সৌমিত্র খাঁ ও সুভাষ সরকারকে পাওয়া যায়নি কোভিডের সময়। কিন্তু তৃণমূল সরকার আপনার পাশে সবসময় ছিল ও আছে।” এরপর বাঁকুড়াবাসীর উদ্দেশে অভিষেক বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে আপনাদের ভাবতে হবে যে আপনারা ধর্ম নিয়ে ভোট দেবেন নাকি অধিকারের জন্য ভোট দেবেন? হিন্দু-মুসলিম ভিত্তিতে ভোট দিয়ে থাকলে, ধর্মের ভিত্তিতে ভোট দিয়ে থাকলে আপনি আপনার অধিকার পাবেন না। তাই অধিকারের জন্য ভোট দিতে হবে। ইস্যু ঠিক করতে হবে আপনাদেরই।” তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আরও জানিয়ে দেন যে “আগামী ভোট বাংলার অধিকারকে সামনে রেখে হবে। ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার টাকা, গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা পাওয়ার জন্য হবে।”
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সৌমিত্রকে উদ্দেশ করে বলেন, “যে বাড়িতে লক্ষ্মীকে রাখতে পারে না, সে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সমালোচনা করছে। মমতা টাকা দিচ্ছে। আর মোদি আধার, প্যানের লিংকের নামে ১০০০ টাকা নিয়ে নিচ্ছেন। একদিকে দিদি দিচ্ছে আর অন্যদিকে মোদি নিচ্ছে।”
এদিকে, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের সভা থেকে অভিষেককে পাল্টা জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু। অভিষেকের বাঁকুড়াবাসীর পাপ মন্তব্য প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন,”কে হরিদাস পাল ভাইপো। প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে ভাইপোকে।” জাতীয় দলের স্বীকৃতি হারানো নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে আবারও খোঁচা দেন বিরোধী দলনেতা। বলেন, “পয়লা বৈশাখের আগেই বাংলাতেই সীমাবন্ধ হয়ে গিয়েছে তৃণমূল।” এদিন তিনি বলেন, “রায়গঞ্জ কোনওদিন তৃণমূলের ছিল না, আগেও ছিল না, এবারও থাকবে না। রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ মিলে লোকসভায় দেড় লক্ষ বেশি ভোট পাব। বিজেপি ১৮টি লোকসভা আসন জেতার পরে তৃণমূলের দোকান বন্ধ হয়েছিল। আমি বেরোনোর পরে তৃণমূলের দোকান খুলেছিল, এর জন্য ক্ষমা চাইছি।”
এরপর ফের এদিন পরিবারতন্ত্রের ইস্যুতে খোঁচা দিলেন তিনি। শুভেন্দুর বার্তা, “পরিবারতন্ত্র, তোষণের রাজনীতি আর দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়বে বিজেপি।” এদিনও ফের শুভেন্দুর মুখে শোনা গেল এনআরসি ইস্যু। তিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “এনআরসি নিয়ে আর ধাপ্পাবাজিতে যাবেন না।”