করোনা ঠেকাতে আজ থেকেই রাজ্যে চালু হয়েছে আংশিক লকডাউন । করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গোটা দেশের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্য। তাই প্রতিদিনই, আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে দেখা যাচ্ছে মৃতের সংখ্যা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিধানসভা নির্বাচন ২০২১ এর ফলাফল বেরোনোর পর গতকাল তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ পাঠের পরই নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায়৷ বৈঠক শেষে একগুচ্ছ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি ৷ তার মধ্যে অন্যতম সিদ্ধান্ত ছিল আজ রাজ্য পরিবহণ মাধ্যমগুলির ৫০% হ্রাস ঘটানো হবে এমনকি শহরতলীতে মেট্রো এবং বাসের সংখ্যা কমানো হবে পূর্বের থেকে। ওদিকে বন্ধ করা হয়েছে শপিংমল, সিনেমাহল , জিম ও অন্যান্য জনবহুল এলাকা গুলি। সেই কারণেই আজ সকাল থেকে গোটা শহর জুড়ে এক অন্য ছবি ফুটে উঠছে। অন্য দিনগুলোর মতো মেট্রো স্টেশন গুলিতে নেই কোন ছোটাছুটি ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গতকাল তাঁর ঘোষণার মধ্যে ,অন্যতম ঘোষণা ছিল, সরকারি এবং বেসরকারি দপ্তর গুলির ৫০% কাজ ওয়ার্ক ফ্রম হোম মাধ্যমে করা হবে। সেক্ষেত্রে আজ থেকেই গোটা শহর জুড়ে দৈনন্দিন যাত্রীসংখ্যাও বেশ খানিকটা কমতে দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি বেসরকারি দপ্তরের কর্মীদের সুবিধার্থে ওয়ার্ক ফ্রম হোম মাধ্যমে কাজ শুরু করা হয়েছে। ওদিকে শহরের সবথেকে জনবহুল ২ রেলস্টেশনে আজ একেবারেই জনমানব শূন্য। গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর জরুরী ভিত্তিক বৈঠকের পরে ঘোষণা করা হয়েছিল আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকতে চলেছে লোকাল ট্রেন । সেক্ষেত্রে হঠাৎ এরকম সিদ্ধান্ত মাথায় হাত পরল সমস্ত হকার এবং ডেলি প্যাসেঞ্জারদের। তবে এখন দেখার বিষয় করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে রুখতে ,মুখ্যমন্ত্রীর এই জরুরী ভিত্তিক বৈঠকের পরে নেওয়া সিদ্ধান্ত ঠিক কতটা তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে রাজ্য এবং রাজ্যবাসীর জন্য।