একদিকে যখন নিট-জয়েন্ট স্থগিত করার দাবিতে একজোট হয়েছেন বিরোধীরা,যেখানে গতকালই ভার্চুয়াল বৈঠক থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারকে আবেদন করেন যাতে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের কাছে রায় পুনর্বিবেচনার অনুরধ করেন আর তা না করলে তাঁরাই শীর্ষ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করবেন । ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন দেশ-বিদেশের ১৫০ জন শিক্ষাবিদ। যাঁদের মধ্যে জেএনইউ, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি, আইআইটি দিল্লি, লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশের নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক, উপাচার্যরা রয়েছেন । সেই চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে শীঘ্রই এই পরীক্ষা গ্রহণের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে ।

মহামারীর অজুহাতে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ, স্বপ্ন নিয়ে আপস করা উচিত নয় । যে দিন নির্ধারিত হয়েছে, সেই দিনগুলিতেই ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা হোক এটাই তাঁদের দাবি । এর বেশি দেরি করলে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের সর্বনাশ হতে পারে । কোনও কিছুর বিনিময়েই এই সময় লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীদের ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয় ।এমনকি তাঁরা এও বলেছেন কেউ কেউ তাঁদের রাজনৈতিক স্বার্থে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলছেন । সেই বিষয়ে আলোকপাত না করে নির্ধারিত দিনেই যেন পরীক্ষা হয়। তবে করোনার এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা যতই নিয়ম মেনে নেওয়া হোক, ছাত্র ছাত্রীদের সমাগম কতটা এড়ানো সম্ভব তা নিয়েই চিন্তিত সকলে ।
