পঞ্জশির দখলের পরেই তড়িঘড়ি সরকার গঠনের কাজ শুরু করেছে তালিবান। আফগানিস্তান দখলের পরেই তারা জানিয়েছিল যে তারা নারী শিক্ষার পক্ষে কিন্তু সেই শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা হবে শরিয়তি আইনানুসারে। এবার সেই উল্লেখিত শিক্ষাব্যবস্থার ছবিই যেনো উঠে এলো এক বিশ্ববিদ্যালয়ে। এক তরুণ সাংবাদিক ছবিটি পোস্ট করেন। ছবিটিতে দেখা গিয়েছে, একটি ক্লাসরুমে ছাত্র ও ছাত্রী দের মাঝখানে পর্দা টাঙানো! যাতে ছাত্রীরা কোনোভাবেই ছাত্রদের সাথে সম্পর্ক না রাখতে পারে তাই এই ব্যবস্থা। এমন কি কলেজ ছুটির সময়ও পাঁচ মিনিট আগে কলেজ ছাড়তে হবে ছাত্রীদের যাতে ছুটির পরেও ক্যাম্পাসে ছাত্রদের সাথে কোনরকম সংশ্রব না থাকে ছাত্রীদের। এই আজব শিক্ষা ব্যবস্থা দেখে ভীষণ উদ্বিগ্ন সেই দেশের শিক্ষাবিদরা। এ ভাবে কতটুকু শিক্ষা প্রদান ও গ্রহণ সম্ভব সে বিষয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আশঙ্কার কথা, এই শিক্ষা ব্যবস্থা গোটা দেশে লাঘু করতে পারে তালিবানরা।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/09/Taliban-changed-the-picture-of-classroom-boys-and-girls-sit-1024x576.jpg)
এছাড়াও মেয়েদের শিক্ষার বিষয়ে একটি নতুন নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে তালিবানের নতুন শিক্ষা ব্যবস্থার তরফ থেকে যেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, মেয়েদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকবে না কিন্তু নিকাব পড়ে মুখ ঢেকেই তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা বাধ্যতামূলক। মেয়েদের শিক্ষা দানের জন্য খালি শিক্ষিকাই নিযুক্ত করা হবে এবং শিক্ষিকা না পাওয়া গেলে বিকল্প হিসেবে কোনো সচ্চরিত্র বৃদ্ধ শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। ছাত্রদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। নারী অধিকার এবং শিক্ষার ওপর বরাবর কোপ নেমেছে তালিবানের। এই চিত্র ফের সেই কথাকেই স্বতঃসিদ্ধ প্রমাণ করেছে। যদিও তালিবানরা এখনও জানিয়েছে তারা নারী শিক্ষার বিরোধী নয়। কিন্তু আফগানভুমির প্রত্যেক নারীই তালিবানদের এই প্রতিশ্রুতি ঠিক কতটা সত্য সেই ব্যাপারে সন্দিহান। এর আগেও ৯০ এর দশকে তালিবানি রাজে নারী শিক্ষাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল তালিবান। কিন্তু এই ২০ বছরে যথেষ্ট বদলেছে সেই চিত্র। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে কর্ম ক্ষেত্রে আফগান নারীদের অবাধ যাতায়াত ছিল। কিন্তু তালিবানদের আফগানিস্তান দখল যে মেয়েদের জন্য যে ফের বিভীষিকাময় দিন ফিরিয়ে আনবে এই আশঙ্কায় দিন গুনছেন অসংখ্য তালিবানি মেয়ে।