তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা অঞ্চলের মধ্যে একাধিক চীনা যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে,গতকাল পর্যন্ত মোট ১৫০টি যুদ্ধবিমানকে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা অঞ্চলের মধ্যে পাঠানো হয়েছে বেজিংয়ের। তাইওয়ানে তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই নিয়ে মোট চতুর্থবার আক্রমণ করল বেজিং। বেশকিছু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন আগত জাতীয় দিবসের আগেই এটিকে তাইওয়ানের রাস্ট্রপতির প্রতি একটি সতর্কবার্তা হিসেবেও দেখা যেতে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বেজিং সর্বদাই তাইওয়ানকে একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে দেখে।যেখানে তারা নিজেদের একটি সার্বভৌম এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার ফরেন অ্যাফেয়ার্স ম্যাগাজিনের একটি প্রবন্ধে, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনকে সতর্ক করে লেখা হয় , আগামী দিনে দ্বীপটি চীনের হাতে চলে গেলে এশিয়ার শান্তি ও গণতন্ত্রের জন্য “বিপর্যয়কর” পরিণতি হতে পারে।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/10/WhatsApp-Image-2021-10-05-at-15.34.53.jpeg)
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৪০ -এর দশকে একটি গৃহযুদ্ধের সময় চীন এবং তাইওয়ান বিভক্ত ছিল। তবে বেইজিংয়ের তরফ থেকে জোর দিয়ে বলা হয়েছিল, যে প্রয়োজনে জোরপূর্বক এই দ্বীপটি পুনরুদ্ধার করা হবে। আর তারপর থেকেই এই দুই অঞ্চলের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়। মূলত তাইওয়ান নিজেদের গণতন্ত্রকে কোনওভাবেই বিপর্যস্ত হতে দিতে চায়না। তবে বেজিংয়ের তরফে বারংবার নিজেদের স্বৈরতান্ত্রিকতাকে কাজে লাগিয়ে দ্বীপটিকে দখলের চেষ্টা করা হয়।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত এক বছর ধরে তাইওয়ানের তরফ থেকে বিভিন্ন সময়ে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে। তাঁদের দাবি চীনা বিমান গুলি তাঁদের সীমানা পার করে তাইওয়ানের মধ্যে চলে আসে। গতকালের এই ঘটনার জন্য ইতিমধ্যেই তাইওয়ান বেইজিংকে “দায়িত্বজ্ঞানহীন উস্কানিমূলক পদক্ষেপ” বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।