বিজেপির ধরনা মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত নিজস্ব ভঙ্গিমায় শুভেন্দু অধিকারী। শ্যামবাজারে বিজেপির ধরনা মঞ্চ ভুয়ো জব কার্ড ইস্যুতে আরও বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী। পরিসংখ্যান তুলে ধরে দেখালেন, কীভাবে দুই মাসের মধ্যে জব কার্ড হোল্ডারের সংখ্যা কমে গিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর হিসেব অনুযায়ী, “২০২২ সালের ডিসেম্বরে রাজ্যে জব কার্ড হোল্ডার ছিলেন ৩ কোটি ৬০ লাখ। আর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে সেই সংখ্যা কমে হয়ে গিয়েছে ২ কোটি ৬০ লাখ।” কেন এইটুকু সময়ের মধ্যে ১ কোটি জব কার্ড হোল্ডারের সংখ্যা কমে গেল? তা নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা।

এরপর নিজেই সেই জব কার্ড হোল্ডারের সংখ্যা এক ধাক্কায় কমে যাওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন। শুভেন্দুর বক্তব্য, “এক কোটি জব কার্ড হোল্ডারের নাম ডিলিট হল কেন? যখন মোদীজি বললেন, আধারের সঙ্গে জব কার্ডকে লিঙ্ক করতে হবে, তখনই এক কোটি জব কার্ড বাদ পড়ে গেল। এরা হল একশো দিনের টাকা লুঠ করা ভুত। এরা গত ১০ বছর ধরে ভুয়ো জব কার্ড দিয়ে কেন্দ্রের টাকা লুঠ করেছে।”
এদিন রেড রোডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্মাকে কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমাদের রাজ্যে কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ রেড রোডে ধর্না দিচ্ছেন। সেখানে এয়ার কুলার, ঠান্ডা জলের ব্যবস্থা রয়েছে। দুধ-চিনি ছাড়া ভাল লিকার চায়ের ব্যবস্থাও আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবথেকে বেশি ভালবাসেন নিজেকে। তাঁর আদরের প্রিয় ভাইপো শহিদ মিনারে আস্ফালনের ডাক দিয়েছিলেন। ভাইপো একা কেন ফুটেজ খাবেন? তাই পিসিও অন্যদিকে বসে গিয়েছেন এবং ধর্না কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।” এরপরেই শুভেন্দুর সংযোজন “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কোনও কিছু মানেন না। উনি শুধু মানেন, এপাং-ওপাং-ঝপাং, আমরা সবাই ড্যাং-ড্যাং। তাই উনি সরকারের বিরুদ্ধে ধর্নায় বসেছেন। হয়ত তাঁর শুভানুধ্যায়ীরা বলে দিয়েছে, এটা বেআইনি হয়ে যাচ্ছে। তাই তিনি মাইক কেড়ে নিয়ে বলেছেন, আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বসিনি। আমি তৃণমূলের সুপ্রিমো হিসেবে বসেছি।”
এদিনের ধর্না মঞ্চ থেকে ‘নো ভোট টু মমতা’ ডাক দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শহিদ মিনারের সভা নিয়েও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, “গোটা রাজ্য থেকে লোক তুলে এনে বিরিয়ানি খাইয়ে ট্রেলার দেখিয়েছে। বিজেপি যা ক্ষমতা আছে, না খাইয়ে একটি জেলা দিয়ে শহিদ মিনার ভরিয়ে দিতে পারি।”