কলকাতার প্রথম অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর খবর উঠে এল। বন্দর হাসপাতাল অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হল ৪৩ বছর বয়সী এক ভদ্রমহিলার। রাজ্যে প্রথম হলেও দিল্লির সহ অন্যান্য রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই বারংবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হওয়ার খবর উঠে এসেছে। তবে এবার মৃত্যু খোদ কলকাতায়।
অক্সিজেন না দিয়ে মেরে ফেলা হল প্রিয়াঙ্কাকে, এমনটাই অভিযোগ পরিবারের তরফে। করোনা সংক্রমনের জেরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাওয়ার খবর আসছে প্রায়সই। কলকাতার এন্টালির বাসিন্দা প্রিয়ঙ্কা দে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট সেন্টেনারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরিবার সূত্রে জানানো হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই আজ মৃত্যু হয়েছে প্রিয়াঙ্কার। তাঁকে ভর্তি করার পর থেকেই তাঁর অবস্থা ক্রমশ অবনতির দিকে গেলেও তাঁকে অক্সিজেনের কানেকশন দেওয়া হয়নি।
প্রিয়ঙ্কার স্বামী গোপাল দে বলেন, “শুক্রবার রাত থেকে অক্সিজেন নেই। অক্সিজেনের অভাবে আমার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।” কষ্ট সহ্য করতে না পেরে প্রিয়াংকা তাঁর কন্যার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন ফোন করে তবে শেষ পর্যন্ত কোনো শেষ রক্ষা পাওয়া গেলোনা রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছ থেকে। বহু জায়গায় ছোটাছুটি করার পরেও পাওয়া গেল না একটা মানুষের বেঁচে থাকার মত অক্সিজেন। তবে এটা পশ্চিমবঙ্গে প্রথম হলেও অন্যান্য রাজ্যের নজিরে প্রথম নয়। প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে এখানেই ,যে আজ সকালেই যেখানে রাজ্যের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে অক্সিজেন তৈরি করছে রাজ্য ,সেখানে কিভাবে অক্সিজেনের অভাবে এক রোগীর মৃত্যু হতে পারে? তাহলে কি এর জন্য দায়ী কেবলমাত্র হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? নাকি অক্সিজেন নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রেরণ করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ?