ইয়াসে বিধ্বস্ত সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিবেচনা করেই দুয়ারের ত্রাণ কর্মসূচির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষয়ক্ষতির আনুমানিক পরিমাপের পরেই সাংবাদিক বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন,আগামী ৩ রা জুন থেকে শুরু হতে চলেছে “দুয়ারে ত্রাণ” কর্মসূচি। মূলত প্রাথমিক ধারণা থেকে জানতে পারা গেছে ,রাজ্যের প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে সাধারণ মানুষের। সে বিষয়ে পরিষ্কার তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত কোন প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব নয়।
রাজ্য সরকারের ঘোষণা মত আগামী ৩রা জুন থেকে ১৮ ই জুন পর্যন্ত দুয়ারে ত্রাণ শিবিরে ক্ষতি গ্রস্ত মানুষের আবেদন গ্রহণ করা হবে।জানা যাচ্ছে, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রতিটি গ্রামে ছোট ছোট ক্যাম্প করা হবে, এবং সেখানেই সাধারণ মানুষকে এসে নিজের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে আবেদন জমা দিতে হবে। তারপর আগামী ১৯ শে জুন থেকে ৩০ শে জুন পর্যন্ত সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য খতিয়ে দেখা হবে। তারপরই খতিয়ে দেখা তথ্যের ভিত্তিতেই ১লা জুলাই থেকে “দুয়ারে ত্রাণ” কর্মসূচির টাকা পৌঁছে যাবে সাধারণ মানুষের ব্যাংক একাউন্টে। সাংবাদিক বৈঠকের, সময় মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে “দুয়ারে ত্রাণ” কর্মসূচির জন্য মোট এক হাজার কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। তবে বর্তমানে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন অংশে জল জমার কারণেই, সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে বলেও জানান তিনি। তবে এই রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ কিছুটা স্বস্তির ছাপ দেখা গেল সাধারণ মানুষের মুখে।