বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের আগাছা পরিষ্কার করতে ব্যস্ত তৃণমূল। অর্থাৎ বিশ্বস্ত লোকেদের নিয়ে ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন মমতা। শুরুটা আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাকে দিয়েই করল শাসকদল। শিশির অধিকারীকে সরিয়ে এই জেলার নয়া সভাপতি করা হল রাজ্যের পরিবেশ তথা জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী অধ্যাপক ডঃ সৌমেন কুমার মহাপাত্রকে । বরাবরই রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ তিনি। দলের বিভিন্ন সময় নেত্রীর পাশে থেকে দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন সৌমেনবাবু । একুশের নির্বাচনে তাই পূর্ব মেদিনীপুরে সাংগঠনিক শক্তিকে মজবুত করতে নেত্রী সেই সৌমেনবাবুর হাতেই জেলার দায়িত্ব তুলে দিলেন। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পর থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি শুরু হয়েছে। এমনকি, দল ছাড়ার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে হামেশাই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন। বিভিন্ন জনসভা থেকে কাঁথির বাড়িতে পদ্ম ফোটানোর হুঁশিয়ারিও দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। হুঁশিয়ারি মত পরে নিজের ছোট ভাইকে নিজের বর্তমান দলে টানতেও দেখা গিয়েছে।
এদিকে, অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই দলের হয়ে কাজ করতে দেখা যায়নি বাবা শিশির অধিকারীকে। বিভিন্ন সভা থেকে শুরু করে দলীয় কর্মসূচিতেও অংশ নিতে দেখা যায়নি অধিকারী গড়ের চাণক্যকে। আর তাই বোধহয় ঝুঁকি নিতে চাইছে না তৃণমূল।
এদিন তৃণমূল নেতা তথা দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন কমিটির নয়া চেয়ারম্যান অখিল গিরিও অন্তত তেমনই মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, দলের কোনও কাজ না করায় শিশিরবাবুকে সরিয়ে দিয়ে সৌমেনবাবুকে বসানো হয়েছে ওই পদে। উল্লেখ্য, যেভাবে পূর্ব মেদিনীপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে বিজেপি। তবে কি তৃণমূলের এখন মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গেরুয়া শিবির ? এমন প্রশ্নই উঠছে সংশ্লিষ্ট মহল থেকে।