ফের বাকযুদ্ধ শুরু রাজনৈতিক মহলে। সরকারি নথি সামনে রেখে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক পোস্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে। তিনি লেখেন, ‘হিঙ্গলগঞ্জের গরীব মানুষের জন্য তিনি নাকি কিছু কম্বল আর শীতবস্ত্র কিনেছিলেন বিতরণ করার জন্য। কোথায় সেগুলো। অনুষ্ঠানে না এনে বিডিও অফিসে পড়ে আছে। ব্যাস, অমনি তিনি ধর্নায় বসে পড়লেন। গোটা রাজ্য জুড়ে চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নায় বসতে দেখে উনি আর নিজেকে আটকাতে পাড়েননি। আগের সময়ের বিরোধী নেত্রীর পুরনো স্মৃতি খুব মনে পড়ছিল হয়ত। তাই এটা একটা ধর্নায় বসার অজুহাত। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। হঠাৎ করে ফন্দি আঁটা হয়ে গেল। ডিএম, বিডিও-কে বলির পাঁঠা করলে কীসের অসুবিধা। এমনিতেই সরকারি আমলারা তাঁর সামনে ঝুঁকতে ঝুঁকতে নিজেদের শিরদাঁড়া এতটাই বাঁকিয়ে ফেলেছেন যে, বিনা কারনে সামান্য তিরস্কার করলেও টুঁ শব্দটি করবেন না তারা। তাহলে একটু বকা ঝকা করে ধর্নায় বসে যাওয়া যাবে।‘
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/09/suvendu-mamata-1024x569.jpg)
প্রশাসনিক অনুষ্ঠানের কর্মসূচী মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসককে জানিয়ে রাখেননি, এ ব্যাপারটি মানতে নারাজ বিরোধী দলনেতা। তিনি আরও লেখেন যে, ”এই সরকারি বিজ্ঞপ্তি অন্য কথা বলছে। ২৬ শে নভেম্বর এই বিজ্ঞপ্তি, উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসকের দফতর থেকে এডিএম সাহেবের পাঠানো। হিঙ্গলগঞ্জের, হাসনাবাদের, মিনাখাঁর, সন্দেশখালিরবিডিও সাহেবদের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, জেলার গোডাউন থেকে কম্বল ও শীতবস্ত্রগুলি ২৮ শে নভেম্বর সংগ্রহ করতে হবে এবং ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর নিজের ব্লকের মধ্যে অবস্থিত পঞ্চায়েতগুলিতে বসবাসকারী প্রান্তিক জনগণকে বিলি করতে হবে। সম্ভাবতই জেলা প্রশাসনের কাছে তথা কার্যালয়ের আধিকারিকদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচী না জানা কার্যত অসম্ভব বলে দাবী করেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন