নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা : চক্রান্ত করে বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার তকমা লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। রবিবাসরীয় সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে এমনই অভিযোগ রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামের নতুন বাজারে বিজেপি কর্মীরা দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল হামলা চালায়। সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ওদের যুব নেতা যে ভাষায় কথা বলছেন এমনকি মুখ্যমন্ত্রী নিজে যেভাবে কথা বলছেন তাতে ওরা লোককে উস্কানি দিচ্ছেন যাতে সংঘর্ষ হয়। এমনকি বিজেপির রথযাত্রা নিয়েও রাজনীতি তৈরি করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় কর্মীদের আক্রমণ করে গন্ডগোল সৃষ্টি করে বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছে। রাজ্যে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে।

ডুমুরজলায় তৃণমূলের পাল্টা সভায় বিজেপি সহ অন্যান্য দল থেকে সাত হাজার কর্মী তৃণমূলে যোগ দেবেন বলে দাবি করেছেন জেলার চেয়ারম্যান অরূপ রায়। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, আগে তো নিজের নেতা সাংসদ, বিধায়কদের সামলে রাখুন। বিজেপি কর্মীরা পাগল হয়নি যে তৃণমূলে যোগ দেবে। এরপরই বলেন, কিছু শিল্পী কাজ হারানোর ভয় আছে। তাদের এক ঘরে করে দেওয়া হচ্ছে। কিছু সিনেমা শিল্পীদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না, ভয় দেখানো হচ্ছে, আর তারাই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।
শনিবার বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলে মহেশতলায় কালো পতাকা দেখানো প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, এর বেশি কিছু করার ক্ষমতা নাই তো। গুন্ডা বদমাশরাও বুঝে গিয়েছে হাওয়া পাল্টাচ্ছে। এরপরে থাকতে হবে এখানে। তাই তারা শান্ত হচ্ছে। এই ফেব্রুয়ারি মাসটা একটু নড়াচড়া করছে তারপর আর খুঁজে পাওয়া যাবে না তৃণমূলকে। শিশির অধিকারী এবং দিব্যন্দ্যু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে দিলীপবাবু জানান, ওনাদের যোগদানের ব্যাপারে কিছুই জানা নেই।
শনিবার তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁথির মাটিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর পরিবার নিয়ে তির্যক মন্তব্য প্রসঙ্গেও তণমূলকে একহাত নেন তিনি। বলেন, ওদের পার্টি থেকে যেভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে পরস্পরের মধ্যে। এটা তার পরিণাম। আমি তাও বলছি এই ধরনের রাজনৈতিক পতন না হওয়াই ভালো। তৃণমূল দলটা বাংলার সংস্কৃতি শিক্ষা শিল্প সব শেষ করেছে।