সামশেরগঞ্জে গঙ্গা ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ফরাক্কার সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “প্রাকৃতিক বিপর্যয় বাড়ছে। নদীতে স্রোত ও চড়া বেড়েছে। ফরাক্কা ব্যারেজ সংক্রান্ত সমস্যা অনেকদিনের।
আমরা বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি। ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এটা দিল্লির সাবজেক্ট। আমাদের নয়। তা সত্ত্বেও আমরা অনেকবার কথা বলেছি। কিন্তু ওরা আমাদের কোনও সাহায্য তো করেইনি। উল্টে ইন্দো ফরাক্কা বাংলাদেশ জলচুক্তি যখন হয়, ৭০০ কোটি টাকা রাজ্যের পাওয়ার কথা ছিল, এলাকাবাসীর উন্নয়নের জন্য, এক পয়সা আজ পর্যন্ত দেয়নি। হয়ত ২০ বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে।”
পাশাপাশি, এদিন আরও একবার বিরোধীদের একজোট হয়ে ওঠার বার্তা দেন মমতা। বলেন, “এজেন্সি দিয়ে কোনও কাজ হবে না। আমি সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে বলব, এক হয়ে যাও। ১:১ লড়াই করুক। যে যেখানে শক্তিশালী, সে সেখানে লড়ুক। আমার কোনও সমস্যা নেই।” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “কেউ নিজেকে দেশের নেতা বললেই নেতা হওয়া যায় না। মানুষ যাকে নেতা বলেন, সেই নেতা।
দীর্ঘদিন ধরে মুর্শিদাবাদে আপনারা অনেক রাজনৈতিক নেতার জন্ম দিয়েছেন। অনেক নেতারা বড় বড় কথা বলেছেন। কিন্তু একটা কাজ আজ পর্যন্ত করতে পারেনি। ফলে কাজটা আমাদেরই করতে হবে। ২০২৪ সালে লোকসভা ভোট। বলে দিয়েছে, চব্বিশ সাল পর্যন্ত বাংলাকে কোনও টাকা দেবে না। বাংলা লড়াই করে বলে দেবে না।”
এদিন প্রশাসনিক সভায় যোগ দিয়ে পাট্টা বিলি করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মোট ৮৬ জনের হাতে পাট্টা তুলে দেন তিনি। বলেন, পর্যটনে মুর্শিদাবাদ জেলা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। সমস্যা গঙ্গা ভাঙন। আমি নীতি আয়োগকেও বলেছি। আমি মুখ্যসচিবকেও বলব, ফরাক্কা ব্যারেজ ড্রেজিং করে না। পলি পড়ে যায় একদিকে, আরেকদিকে জল। ভাঙন থেকে বাঁচতে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, নদী থেকে বাড়ি দূরে তৈরি করুন। পাঁচ কিমি অন্তত। একটু দূরে তৈরি হলে বাড়ি ভাঙন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।