আমফান ও ইয়াসের পর আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। যার আতঙ্কে একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল থেকে শুরু করে রাজ্য ও এলাকা ভিত্তিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শুরু করেছে সরকার৷ হাওয়া দফতরের সতর্কতা অনুযায়ী, অন্ধপ্রদেশ ওবং ওড়িশা উপকূলে আগামী ৪ ডিসেম্বর সকালে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়৷ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু রাজ্য থেকে বিদায় নেবার পর এটিই প্রথম ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়টির এমন নামের পেছনে তাৎপর্য কি? কী বা মানে এই নামের ?
এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে সৌদি আরব। ‘জাওয়াদ’ একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ উদার বা করুণাময়৷ কিন্তু বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের নামের অর্থ আবার করুণাময়? আবহওয়াবিদের মতে, ইয়াস, গুলাব বা ফণির মতো আসন্ন জাওয়াদ ঝড়টি ততটাও বিধ্বংসী বা ভয়ঙ্কর নয়৷ এ কথা মাথায় রেখেই তার নাম রাখা হয়েছে ‘জাওয়াদ’ বা ‘উদার’৷ আবহাওয়া অফিসের তরফে জানিয়েছে, উপকূলবর্তী অঞ্চলে শনিবার থেকে হাওয়ার বেগ থাকবে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার। তা সর্বোচ্চ পৌঁছাতে পারে ৮০ কিলোমিটারে।
বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে প্রবল ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর । আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া একটি নিম্নচাপই পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। এছাড়াও এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে শনি ও রবিবার রাজ্যে বজ্রবিদ্যুত্-সহ ঝড়বৃষ্টিও হতে পারে বলে সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস। শনিবার ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম এবং হাওড়া জেলায়।