৯ মাস ধরে লাদাখে প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণে মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল ভারতীয় ও চি সেনা। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে চলছিল নানান বৈঠক। কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন ,ভারত বিশ্বাস করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের তাই বারবার চীনের সঙ্গে বৈঠকে বসছে ভারত। বৃহস্পতিবার রাজনাথ সিং ঘোষণা করেছেন ,দুই তরফেই সেনা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ।দুই দেশের শীর্ষ কম্যান্ডারদের মধ্যে আগামী ৪৮ ঘণ্টার আবার বৈঠক হবে। তবে তার আগে সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি ।পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে তিনি খুবই খুশি, হাউসকে এত বড় একটি সুখবর দিতে পারার জন্য। ‘সব্র কা ফল মিঠা হোতা হে’ সম্ভবত এই কথাটির বাস্তবায়ন করলে এমনই কিছু ঘটনার নজির সামনে আসবে।
ভারত-চীন সংঘর্ষ নিয়ে উত্তপ্ত ছিল গালওয়ান উপত্যকা। আর এবার সেই গলওয়ান উপত্যকাটিতে পৌঁছানোর কথা হলো ভারতীয় পার্লামেন্টেরি স্ট্যান্ডিং কমিটির। এই কমিটিতে প্রায় ৩০জন সদস্য রয়েছে। বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জুয়াল ওরামের প্রতিনিধিত্বে এই দলটি যাবে গালওয়ান উপত্যকায়। শুধু তাই নয় এই কমিটির একজন বিশেষ সদস্য হলেন কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী। মে-জুন মাসের দিকে এই প্যানেলে একবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল লাদাখ যাওয়ার উদ্দেশ্যে। এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধীর স্বয়ং । তবে সেই সময় এই প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এই শেষ প্যানেল মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যে এই প্যানেলটি লাদাখে যাবে ।গতকাল সরকারি সূত্রে এই খবরটি দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
চিন ফিঙ্গার ৮-এর পূর্ব দিকে উত্তর তীরে অঞ্চলে তাদের সেনা মোতায়েন রাখবে। অন্যদিকে ভারতীয় সেনা ফিঙ্গার ৩-এর কাছে ধন সিংহ থাপ পোস্টে তাদের স্থায়ী ঘাঁটি করবে ,এই পদ্ধতিকেই সম্মতি জানিয়ে দুই দেশের তরফ থেকে সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।