দুর্গাপুজো, কালীপুজোর শেষে আজ ছটপুজোর পালা। এই পুজো মূলত অবাঙালিরা করে থাকেন। এই পুজোয় সূর্য্যদেবতার পুজো করা হয়ে থাকে। কিন্তু ছটপুজো সম্পন্ন করা মোটেও সহজ কাজ নয়। এই পুজোতে কঠোরভাবে মেনে চলতে হয় কিছু নিয়মকানুন। যাঁরা এই পুজোয় মানত বা ব্রত রাখেন তাঁদের প্রায় ৪০ ঘন্টা সম্পূর্ন নির্জলা উপবাস করতে হয়। উৎসবের শেষ দিন সূর্যোদয় অর্ঘ্য প্রদানের পর পুজোর প্রসাদ খেয়ে ব্রত ভাঙেন তারা। এই উৎসব মূলত চার দিন ধরে পালন করা হয়। উৎসবের প্রথম দিন স্নান সেরে দুপুরের খাবার হিসেবে লাউ-ভাত রান্না করতে হয় ঘরের মহিলাদের। কিন্তু এই রান্নার বিশেষত্ব হল সমগ্র রান্নাটিই হয় নুন ছাড়া। ব্রত পালনকারি বাদে বাড়ির প্রত্যেকেই এই খাবার খায়।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন সূর্য দেবতার আরাধনা করার পাশাপাশি ক্ষীর, রুটি, কলা উপাচাররূপে নিবেদন করা হয়। এদিন রাত থেকেই শুরু হয় ছটপুজোর মূল উপকরণ ঠেকুয়া বানানোর কাজ। এছাড়াও এদিন রাতে ছটপুজোর ডালা সাজানোর কাজও শুরু করেন মহিলারা। তারপরের দিন বিকেলে অর্থাৎ তৃতীয়দিন বিকেলে জলাশয়ে গিয়ে ডুবন্ত সূর্যকে নিবিষ্ট চিত্তে পুজো করতে হয়। পুজো শেষে প্রদীপ জলাশয়ে ভাসিয়ে দেওয়ায় রেওয়াজ। পুজোর ডালায় বিভিন্নরকম ফল ছাড়াও থাকে ঠেকুয়া। উৎসবের শেষদিন ভোরবেলা সূর্য ওঠার আগেই ব্রতপালনকারীরা পুনরায় জলাশয়ে যান। সেখানে অর্ঘ্য নিবেদন করেন। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সম্পন্ন হয় পুজোর কাজ। পুজো শেষে বাড়ি ফিরে খরনা অর্থাৎ প্রথম দিন সন্ধে থেকে প্রায় ৪০ ঘন্টা পর ঠেকুয়া, আদা, জল, গুড় খেয়ে উপবাস ভাঙেন ব্রত পালনকারীরা।