কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আলিপুরদুয়ারের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থার্ড কোর্ট। ২০০৯ সালে দুটি সোনার দোকানের ডাকাতি মামলায় নাম জড়ায় নিশীথ প্রামাণিকের। এবার সেই মামলাতে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ারের দু’টি সোনার দোকানে ডাকাতি হয়। প্রথম চুরির ঘটনাটি ঘটে আলিপুরদুয়ার শহরের বাদলনগর এলাকায় জয়গুরু জুয়েলার্সে। চুরির ঘটনাটি ঘটে ওই বছরেই আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া বীরপাড়াতে পাল জুয়েলার্সে। এই দুই চুরির ঘটনাতেই নাম জড়ায় বর্তমান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রর। নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে আই পি সি ৪৫৭, ৩৮৫ ও ৪১১ নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়।
নিশীথ প্রামাণিক ২০১৯ সালে কোচবিহার লোকসভার সাংসদ হিসেবে জিতে এলে, মামলাটি আলিপুরদুয়ার আদালত থেকে চলে আসে বারাসাতের এমএলএ, এমপি আদালতে। পরবর্তীকালে হাইকোর্টের নির্দেশে আবার মামলাটি ফেরত যায় আলিপুরদুয়ারের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থার্ড কোর্টে। গত ১১ ই নভেম্বর আলিপুরদুয়ার আদালতের বিচারপতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট থার্ড কোর্টের বিচারক আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে নিশীথ প্রামানিককে গ্রেফতার করে আদালতে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন পুলিশকে।
এ বিষয়ে নিশীথ প্রামাণিকের আইনজীবী বলেন, ‘১১ তারিখ মামলাটির প্রথম হাজিরার দিন ছিল। সেই দিন আমরা গিয়ে নিশীথ প্রামাণিকের নামে অ্যাবসেন্ট পিটিশন জমা দিই। সেই সময় বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন না। পরে ৭টা নাগাদ থার্ড কোর্টের বিচারক অ্যাবসেন্ট পিটিশন খারিজ করে নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তবে এ বিষয়ে অবশ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব কিছু বলতে চাননি।