আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার আগে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের সরাসরি অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন শুভেন্দু বলেন, বিজেপির তরফে একটি ডেলিগেশন জমা দেওয়ার কথা ছিল মূলত তিনটি ইস্যু নিয়ে। আমি শুভেন্দু অধিকারী, শিশির বাজরিয়া, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সহ আমরা ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের ৭ জন ভোটারকে এনেছিলাম। ভোটার কার্ড বাদ দেওয়া হয়েছে কিভাবে সেই তালিকা নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু কিছু কাজ হয়নি । চোর বিডিওগুলো এই নোংরামি কাজের সাথে যুক্ত। রিটার্নিং অফিসার ও এসডিও অনেকেই এই অপকর্মে জড়িত। ভার্বাল কনসেন্ট দিয়েছেন অনেক জেলা শাসক। এবারের ভোটার তালিকায় যেভাবে সংগঠিত চুরি হয়েছে সেটা গোটা ভু-ভারতে কখনো হয়নি। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছিল যদি মৃত নাম থেকে যায়, কোনো চুরি হওয়া তালিকায় সেটার দায় যাবে জেলাশাসকের উপর তারপরও কোনো পরিবর্তন নেই। আমরা দাবি করেছি যাদের নাম বাদ পড়েছে তাদের নাম আবার নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
শুভেন্দু আরও বলেন, এখান থেকে তৃণমূল কর্মচারী ফেডারেশনের লোকদের সরাতে হবে ভোটের আগে নাহলে কিভাবে সরাতে হয় বিজেপি জানে।
তিনি আরও বলেন, ইলেকশন কমিশনের গাইড লাইন না মেনে পোস্টিং হচ্ছে একাধিক আধিকারিকের। সব তথ্য আছে আমাদের কাছে। পুলিশ ওয়েল ফেয়ার বোর্ডকে কাজে লাগিয়ে ভোটের আগের দিন পর্যন্ত যত অপকর্ম হবে সেগুলো করানোর ব্যবস্থা হয়েছে। বাছাই করা অফিসারকে সাইডলাইনে পোস্টিং করা হয়েছে যাতে তাদের দ্বারা নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে রাজ্য। অপব্যবহার করা হচ্ছে পুলিশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে। আমরা সিইওকে সতর্ক করেছি এব্যাপারে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীর এই অভিযোগ নিয়ে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে জেলা শাসককে। রিপোর্ট পাওয়ার পর এনিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।