২০২০ সালের শুরুর দিক থেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে নাজেহাল অবস্থা হয় বিশ্ববাসীর। মৃত্যু হয় বহু মানুষের। তারপর কোন রকমের লকডাউন, কারফিউ অন্যান্য সাবধানতা অবলম্বন করে এই বিপদ থেকে কিছুটা রক্ষা পায় দেশগুলি। তবে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে না হতেই সাধারণ মানুষের মধ্যে অসাবধানতা এতটাই বেড়ে যায় যে মাস্কের ব্যবহার একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। সেইজন্য দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে পুরো বিশ্ব নাজেহাল হয়ে গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে বিশ্ব বাজারে ভ্যাক্সিনের ৭৮০ মিলিয়নেরও বেশি ডোজ ছাড়া রয়েছে। তারপরেও ঠেকানো যাচ্ছে না অতিমারীর দাপট।পাশাপাশি তিনি এও জানিয়ে দিয়েছেন বিশ্বজুড়ে টানা ৭ সপ্তাহ ধরে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আর টানা ৪ সপ্তাহ ধরে বাড়ছে কোভিডের কারণে মৃত্যু ৷ এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে গেলে সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
কিছুদিন আগে একটি সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান উপস্থিত ছিলেন এবং বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ভার্চুয়ালী ওই বৈঠকে অতিথি হিসাবে যোগ দিয়ে একসঙ্গে বলেন, “আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে আমরা করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব। মারণ ব্যাধিকে রুখতে প্রয়োজনীয় মেডিকেল সরঞ্জামের সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। খুব দ্রুত আমরা এই বৈশ্বিক সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।”
তিনি তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে যোগ করেন করোনা মোকাবেলায় উন্নত দেশগুলির থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলি যেভাবে প্রগতির পথে কাজ করে চলেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয় ।এমনকি একথার মাধ্যমে ভারতের নাম অবশ্যই উঠে আসে। প্রধানত করোনার প্রথম ঢেউ রুখতে ভারতের তরফ থেকে নেওয়া পদক্ষেপ গুলি বিশ্বের দরবারে ভারতকে এক অনন্য স্থান তৈরি করে দিয়েছে। ওদিকে তথ্য বলছে চারমাসে ২মিলিয়ন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। গত তিনমাসে সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৩ মিলিয়নে এটি একটি সত্যিই চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিশ্বের দরবারে। মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা চালিয়ে যেতে হবে এখনও অনেক দিন, কেবলমাত্র ভ্যাকসিনের দ্বারা এই ভাইরাসকে প্রতিহত করা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।